ওয়াশিংটন, ১১ জুন: কালো মানুষের তাদের দৈনন্দিন জীবনে যে অবিচারের স্বীকার হয় তার বিরুদ্ধে সামগ্রিকভাবে রুখে দাঁড়ানোর একটা আলো দেখতে পাচ্ছি। মার্কিন মুলুকে অ্যাফ্রো-আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েড হত্যার ঘটনা প্রসঙ্গে বুধবার একথাই বললেন সমাজকর্মী বিলিয়নেয়ার বিল গেটস (Bill Gates)। সেই সঙ্গে বলেন, নিয়ম তান্ত্রিক বর্ণবিদ্বেষ সম্পর্কে আরও বেশি জানতে তিনি আরও বদ্ধপরিকর। পাশাপাশি এমনই একটা পরিবেশ তৈরি করতে চান যেখানে প্রতিটা মানুষের সঙ্গে সমান ব্যবহার করা হবে। পুলিশি হেফাজতে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল গোটা আমেরিকা। এই প্রসঙ্গে টেনেই টুইট করেন বিল গেটস।
সেখানে বিল গেটস লেখেন, “জর্জ ফ্লয়েড, আমু আবরি, ব্রিওনা টেলর-সহ কত কত কালো মানুষ এভাবেই বর্ণবিদ্বেষের স্বীকার হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন। এবং তাঁদের মৃত্যুতে কালো মানুষদের যে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে তার মধ্যে আমি একটা আলোর ঝলকানি দেখতে পাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তে কালো মানুষগুলি নিষ্ঠুর অবিচারের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছে পুলিশের কর্মকাণ্ডে, অপরাধের বিচারে, শিক্ষাক্ষেত্রে, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে, কর্মক্ষেত্রে, আবাসনে, এবং তাদের জীবন ধারণের প্রতিটা বিষয়ে।” এই প্রসঙ্গে বিল গেটস নিজেই ঘোষণা করেন, তিনি আরও গোছানো বর্ণবাদ শিখতে আগ্রহী। এবং নিজের কাজ ও কথায় সবার জন্য সমানাধিকারের বন্দোবস্ত করব। এই ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার ক্যামপেন যা পুলিশি হেফাজাতে অ্যাফ্রো-আমেরিকান ফ্লয়েডের হত্যাকে কেন্দ্র করে ছড়িয়েছিল। তা ইতিমধ্যেই বিশ্বজুড়ে বিরাট সমর্থন পেয়েছে। আরও পড়ুন-George Floyd: পুলিশি অত্যাচারে শ্বাসরোধেই মৃ্ত্যু হয়েছে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত জর্জ ফ্লয়েডের, চূড়ান্ত অটোপসি রিপোর্ট
The horrifying killings of George Floyd, Ahmaud Arbery, Breonna Taylor and far too many other Black people—and the protests they sparked—are shining a light on the brutal injustices that Black people experience every day…
— Bill Gates (@BillGates) June 10, 2020
…in policing, criminal justice, education, health care, housing, the workplace and all other areas of their lives.
— Bill Gates (@BillGates) June 10, 2020
পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন মিনিয়াপোলিস পুলিশের হাতে অ্যাফ্রো-আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েডের (George Floyd) মৃত্যুর ঘটনা মার্কিন মুলুকে কালোদের অধিকারের স্বপক্ষে বিক্ষোভে স্ফুলিঙ্গ যোগ করেছে। জর্জ ফ্লয়েডের ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্টে দেখা গিয়েছে গত এপ্রিলে কোভিড-১৯ পজিটিভে আক্রান্ত হন তিনি। উপসর্গহীন হওয়ায় মৃত্যু পর্যন্ত তাঁর শরীরেই বাসা বেঁধে ছিল মারণ ভাইরাস। তবে ময়নাতদন্তে স্পষ্টই বলা হয়েছে যে তিনি কোভিড-১৯ এ মারা যাননি বা এই রোগ তাঁর মৃত্যুকে তরাণ্বিত করেনি। শ্বাসরোধেই ফ্লয়েডে মৃত্যু হয়েছে। শরীরে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যেতেই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। যার জেরেই এই মৃত্যু। ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট দিয়েছেন হ্যানেপিন কাউন্টি মেডিক্যাল এগজামিনার অফিসার।