
ফাল্গুন শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিতে পালন করা হয় আমলকী একাদশী উপবাস, এটি রংভরী একাদশী নামেও পরিচিত। হিন্দু ধর্মে একাদশী তিথি ভগবান বিষ্ণুর উদ্দেশ্যে নিবেদিত, তাই এই দিনে পুজো করা হয় ভগবান বিষ্ণু এবং দেবী লক্ষ্মীর। আমলকী একাদশীতে পুজো করা হয় আমলকী গাছের। বিশ্বাস করা হয় যে ভগবান বিষ্ণু আমলকী গাছে বাস করেন, এই দিনে আমলকী গাছের পুজো করা স্বাস্থ্য এবং সৌভাগ্যের জন্য শুভ। অনেকে এই দিনে আমলকী গাছও রোপণ করেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক আমলকী একাদশীর দিনক্ষণ, আমলকী একাদশী পুজোর পদ্ধতি এবং আমলকী একাদশীর গুরুত্ব।
২০২৫ সালে ফাল্গুন শুক্লপক্ষ একাদশী শুরু হবে ০৯ মার্চ, রবিবার সকাল ০৭:৪৫ মিনিটে এবং শেষ হবে ১০ মার্চ, সোমবার সকাল ০৭:৪৪ মিনিটে। উদয় তিথি অনুসারে, ১০ মার্চ পালন করা হবে আমলকী একাদশীর উপবাস ও পুজো। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, ফাল্গুন শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিতে আমলকী গাছে বাস করেন ভগবান বিষ্ণু। গরুড় পুরাণে উল্লেখ আছে যে, মা লক্ষ্মীর অশ্রু থেকে আমলা গাছের উৎপত্তি। তাই এই দিনে আমলকী গাছের পুজো ও প্রদক্ষিণের ঐতিহ্য রয়েছে, এর ফলে ব্যক্তির সমস্ত পাপ বিনষ্ট হয় এবং জীবনের সমস্ত বস্তুগত ও আধ্যাত্মিক সুখ লাভ হয় এবং মৃত্যুর পর বৈকুণ্ঠ লোক লাভ হয়।
ফাল্গুন মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিতে ব্রহ্ম মুহুর্তে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে সূর্যকে জল অর্পণ করার পর ভগবান বিষ্ণু এবং দেবী লক্ষ্মীর ধ্যান করে উপবাস ও পুজো করার প্রতিজ্ঞা নেওয়া হয়। পুজো স্থানে একটি মাদুরের উপর একটি লাল কাপড় বিছিয়ে ভগবান বিষ্ণুর মূর্তি বা ছবি স্থাপন করার পর প্রথমে পঞ্চামৃত এবং তারপর গঙ্গা জল দিয়ে অভিষেক করা হয়। এরপর ধূপ জ্বালিয়ে মন্ত্র জপ করে পুজো করা হয়। ভগবান বিষ্ণুকে পান, সুপারি, তুলসী, হলুদ ফুল নিবেদন করা হয় এবং প্রসাদ হিসেবে ফল ও মিষ্টি অর্পণ করা হয়। শেষে ভগবান বিষ্ণু এবং দেবী লক্ষ্মীর আরতি করে সকলের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। দেশের অনেক জায়গায় ভগবান শিবেরও পুজো করা হয় আমলকী একাদশীতে।