বিগত কয়েকমাস ধরে অস্থির পরিস্থিতি রয়েছে বাংলাদেশে। এরমধ্যে বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরাতে মরিয়া হয়ে পড়েছেন। হাসিনাবিহীন বর্তমান বাংলাদেশে মৌলবাদীরা অরাজকতা শুরু করে দিয়েছে। দেশের এই পরিস্থিতি নিয়ে সমালোচনায় সরব সাহিত্যিক (Taslima Nasreen)। তিনি রবিবার সাংবাদিকদের সামনে জানান, বাংলাদেশ বর্তমানে জামাত-ই-ইসলাম, জিহাদি এবং আতঙ্কবাদীরা চালাচ্ছে। তাঁরাই দখল করে নিয়েছে গোটা দেশকে। এরা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে যাঁরা স্বাধীন করেছিল সেই সমস্ত স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মূর্তি ভাঙছে, স্থাপত্য নষ্ট করছে।

বাংলাদেশে নির্বাচনের দাবি তসলিমা নাসরিনের

সাহিত্যিক আরও বলেন, সম্প্রতি দেশের জনক শেখ মুজিবুর রহমান বাড়িতে ভাঙচুড় চালিয়েছে। এটা কোনও সভ্য মানুষের কাজ হবে পারে না। যাঁরা আওয়ামী লিগের সঙ্গে যুক্ত, হয় তাঁদের মেরে ফেলা হচ্ছে, নয়তো বা তাঁদের জেলে ভরে দিচ্ছে। দেশের পরিস্থিতি এখন ভালো নয়। তাই আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আমরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ক্ষমতায় চাই। আমরা চাই না জামাত-ই-ইসলামের মতো ধর্মকেন্দ্রিক দল ক্ষমতায় আসুক। ধর্মকেন্দ্রিক দল সমাজের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক।

দেখুন তসলিমা নাসরিনের বক্তব্য

জামাত-ই-ইসলামকে ভারত বিরোধী বলে মন্তব্য তসলিমার

তিনি বলেন, আমাদের বিচ্ছিন্নতা দরকার। রাষ্ট্র ও ধর্মের মধ্যে কঠোর বিচ্ছিন্নতা। জামাতদের নিষিদ্ধ করা উচিত, কারণ এরা আধুনিক সমাজের পক্ষে ক্ষতিকারক। এরা নারীদের সমান অধিকার দিতে এবং মানবতার বিরুদ্ধে শরিয়া আইন চায়। এরা গনতন্ত্র ও ধর্ম নিরপেক্ষতা বিশ্বাস করে না। জামাতরা পাকিস্তানপন্থী ও ভারত বিরোধী। তাই যেসব রাজনৈতিক দলগুলি স্বাধীনতাতে বিশ্বাস করেন তাঁদের উচিত এক হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা। তাঁদেরই দেশ শাসন করা উচিত।