George Floyd: পুলিশি অত্যাচারে শ্বাসরোধেই মৃ্ত্যু হয়েছে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত জর্জ ফ্লয়েডের, চূড়ান্ত অটোপসি রিপোর্ট
সেই নারকীয় দৃশ্যের অংশ (Photo Credits: Twitter)

মিনিয়াপোলিস, ৪ জুন: পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন মিনিয়াপোলিস পুলিশের হাতে অ্যাফ্রো-আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েডের (George Floyd) মৃত্যুর ঘটনা মার্কিন মুলুকে কালোদের অধিকারের স্বপক্ষে বিক্ষোভে স্ফুলিঙ্গ যোগ করেছে। জর্জ ফ্লয়েডের ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্টে দেখা গিয়েছে গত এপ্রিলে কোভিড-১৯ পজিটিভে আক্রান্ত হন তিনি। উপসর্গহীন হওয়ায় মৃত্যু পর্যন্ত তাঁর শরীরেই বাসা বেঁধে ছিল মারণ ভাইরাস। তবে ময়নাতদন্তে স্পষ্টই বলা হয়েছে যে তিনি কোভিড-১৯ এ মারা যাননি বা এই রোগ তাঁর মৃত্যুকে তরাণ্বিত করেনি। শ্বাসরোধেই ফ্লয়েডে মৃত্যু হয়েছে। শরীরে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যেতেই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। যার জেরেই এই মৃত্যু। ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট দিয়েছেন হ্যানেপিন কাউন্টি মেডিক্যাল এগজামিনার অফিসার।

এই রক্ত চলাচল বন্ধ হওয়ার ঘটনার দায় মিনিয়পোলিস পুলিশের। কারণ তাঁর মৃত্যুর মুহূর্তেই চরম অত্যাচার চালায় অভিযুক্ত পুলিশকর্মী ডেরেক শৌভিন। সে হাঁটুর চাপে জর্জ ফ্লয়েডের গলা চেপে ধরেছিল। এর জেরেই তাঁর মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যারফলে দম বন্ধ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ওই অ্যাফ্রো আমেরিকান। এই মৃত্যু হোমিসাইড হিসেবেই চিহ্নিত হয়েছে। মৃতের পরিবারের তরফেও আরও একবার ময়নাতদন্ত করা হলে রিপোর্ট হোমিসাইড-ই আসে। জাল টাকা ব্যবহারের অভিযোগে মিনিয়াপোলিস পুলিশ জর্জ ফ্লয়েডকে গ্রেপ্তার করে। গত ২৫ মে পুলিশি হেফাজতেই তাঁকে হত্যা করা হয়। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, হাতকড়া খুলে দেওয়ার পর ফ্লয়েডকে পুলিস জিপের চাকার পাশে মাটিতে ঠেসে ধরা হয়। এই অবস্থায় পুলিশ কর্মী শৌভিন ফ্লয়েডের গলা আট মিনিটেরও বেশি সময় ধরে হাঁটুতে চেপে রাখে। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, ওই অবস্থায় ফ্লয়েড হাঁপাচ্ছেন আর বলছেন ‘দম নিতে পারছি না’। আরও পড়ুন-George Floyd Protests: মার্কিন মুলুকে জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে নয়া মোড়, কাপড়ে মুড়ল ভারতীয় দূতাবাস লাগোয়া গান্ধীমূর্তি

বর্ণ বিদ্বেষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে আমেরিকায়। গত এক সপ্তাহ ধরে মানুষ পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। এমতাবস্থায় এক অপ্রীতিকর ঘটনার সাক্ষী থাকল মার্কিন মুলুকের ভারতীয় দূতাবাস (Indian Embassy)। দূতাবাসের সামনেই রয়েছে গান্ধীমূর্তি। এদিন দেখা যায়, কালো মানুষের লড়াইয়ে শামিল বিক্ষোভকারীরা সাদা কাপড়ে মুড়ে দিয়েছে গান্ধীমূর্তি ও তার পাদদেশ। কে বা কারা গান্ধীমূর্তিকে এভাবে অসম্মান করল তা এখনও জানা যায়নি। তবে সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর তথ্য বলছে, অপরাধীদের চিহি্নিত করতে তদন্তে শুরু করেছে মার্কিন মুলুকের মার্ক পুলিশ। মঙ্গলবার কাকভোরে চুরি রুখতে গিয়ে খুন হন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ ক্যাপ্টেন সেন্ট লুইস।