চিন (Photo Credits: Twitter)

বেজিং, ১২ মার্চ: করোনাভাইরাস (Coronavirus) আতঙ্কে থরো থরো কম্পমান গোটা বিশ্ব। কী থেকে কী হবে কেউ জানে না। ইতিমধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লক্ষ ছাড়িয়েছে প্রায়। আর মৃত সাড়ে চার হাজারের কাছাকাছি। মার্কিন মুলুকে ইউরোপের বিমান পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ভারতে ভিসা দেওয়া বন্ধ হয়েছে। সংক্রমণ রুখতে সীমান্ত সিল করে দিচ্ছে বিভিন্ন দেশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাসকে মহামারী আখ্যা দিয়েছে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্বনীতিতে ভাঙন শুরু হয়েছে। ভারতের শেয়ার বাজারে বিরাট ধস নেমেছে। সেনসেক্স ও নিফটির পতন অব্যাহত। ডলারের অনুপাতে টাকার দামও অনেক পড়েছে। এদিকে করোনাকে হাতিয়ার করে ছুটি কাটাতে গিয়ে চাকরি খোয়ালেন একজন।

অদ্ভুত ঘটনাটি ঘটেছে চিনে। এই মারণ রোগের আতুঁড় ঘর চিন। সেখানকার হুবেই প্রদেশের উহানে প্রথম করোনা আক্রান্তের সন্ধান মেলে। এরপর দেশে দেশে আক্রান্ত বেড়েছে। ইরাক, ইরান, ইটালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার অবস্থা খুবই খারাপ। ইংল্যাণ্ডে বাড়ছে সংক্রমণ। ভারতে ৭৩ জন করোনা আক্রান্তে প্রমাণ মিলেছে। এমন সময় জানা গেল, চিনে নাকি নতুন করে কেউ আর মারণ রোগে আক্রান্ত হয়নি। এই খবর যেমন নিশ্চিন্ত হওয়ার বার্তা নিয়ে আসে। তেমনি, করোনার দোহাই দিয়ে অফিস না করার খবরে দুঃখের মাঝেও হাসি পায় বৈকি। এমনিতেই বিভিন্ন অফিসের তরফে কর্মীদের জানানো হয়েছে, ঠান্ডা লেগে জ্বর সর্দিকাশির উপক্রম হলে অফিসে আসার দরকার নেই। শরীর সুস্থ করে তারপর আসবেন। চিনেই এই পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছেন অনেক কর্মজীবী, এমনটাই অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। আরও পড়ুন-Coronavirus In India: অপ্রতিরোধ্য করোনাভাইরাস, দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৩

চিনের এক বাসিন্দা সম্প্রতি অফিসে ফোন করে জানান, তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কথা। সেই সঙ্গে বলেন, করোনাভাইরাসের উপসগর্ দেখা দিয়েছে, তাই তিনি অফিসে যেতে পারবেন না। এই বিপর্যয়ের সময় একটু ছুটি কাটাতে মন চেয়েছিল ওই ব্যক্তির। আরাম যে এমন হারাম হয়ে যাবে তাঁর ক্ষেত্রে, তা বোধহয় ভাবতে পারেননি। অফিস কর্তৃপক্ষ তিনদিনের জন্য সংস্থার ঝাঁপ বন্ধ করে দিয়ে প্রত্যেক কর্মীকে পৃথকভাবে রাখার ব্যবস্থা করলেন। আক্রান্ত ব্যক্তির দাবি, তিনি শপিং মলে যখন কেনাকাটা করছিলেন তখনই এক করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে চলে আসেন। পুলিশ ঘটনার তদন্তে গিয়ে জানতে পারে, ভুয়ো যুক্তি সাজাচ্ছেন ওই ব্যক্তি। দাবির স্বপক্ষে কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই। করোনাভাইরাস নিয়ে অফিসকে ভুল তথ্য দেওয়ায় সংস্থার তরফে ওই কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। শাস্তি হিসেবে তিন মাসের জেল হয়েছে। পরে ৬ মাস প্রবেশনে থাকতে হবে ওই কর্মীকে।