মমতা বন্দোপাধ্যায়

কলকাতা, ২০ জুলাই:  রাজ্যে তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার পর তৃণমূলের প্রথম শহীদ দিবস। এমন একটা শহীদ দিবস ধর্মতলা বা ব্রিগেডে হলে যে ভিড় রেকর্ড গড়ত তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। নিজের রাজনৈতিক জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জয়ের পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee) আগামিকাল, ২১ জুলাই, দলের শহীদ দিবসের ভার্চুয়াল মঞ্চে বক্তব্য রাখবেন।

আগামিকাল, বুধবার দুপুর দুটোয় ভাষণ দেবেন দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জি। ফেসবুক সহ দলের সবকটি সোশ্যাল মাধ্যম, যেমন ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার থেকে সরাসরি মমতার ভাষণ প্রচারিত হবে। পাশাপাশি দলের বিধায়ক, সাংসদদের ফেসবুক প্রোফাইল থেকেও সরাসরি দেখা যাবে একুশের অনুষ্ঠান। আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা পুলিশের

করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা গতবারের মত এবারও রাজ্যের শাসক দলের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান বা দিবস পালন জনসমাগম এড়াতে ভার্চুয়াল মাধ্যমেই হবে। ৫০ লক্ষের বেশি দলীয় কর্মী-সমর্থক মমতার ভার্চুয়াল এই সমাবেশ অংশ নিতে চলেছেন।

তবে এবারের ২১ জুলাই একেবারেই ব্যতিক্রমী হচ্ছে বেশ কিছু কারণে। এবার আর বাংলার মানুষকে বোঝানোর দরকার নেই কেন দিদিকে চায়। দিদিকে চাওয়া বাংলা জিতে তৃণমূলের লক্ষ্য এবার দেশজয়ের। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ-দের হারাতে মরিয়া দিদি কী কৌশল নেয় তার একটা আভাস মিলবে এবারের শহীদ দিবসে। বাংলার মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়ে গোটা দেশবাসীর উদ্দেশ্যে মমতা কী বলেন সেটাই দেখার। এবারই প্রথম দিল্লি, উত্তরপ্রদেশের নানা জায়গায় এলডি স্ক্রিনের মাধ্যমে তৃণমূলের শহিদ দিবসে দিদির বক্তব্য দেখানো হবে। পড়শির দুই বিজেপি শাসিত রাজ্যে অসম, ত্রিপুরাতেও বড় স্ক্রিনে দেখানো হবে মমতার ভাষণ। ত্রিপুরার চারটি জায়গায় জায়ান্ট স্ক্রিনে মমতার ভাষণ দেখা হবে ।

কেমন চলছে প্রস্তুতি- তৃণমূলের অফিস থেকেনির্দেশে আরও বলা হয়েছে, কোভিড বিধি মেনে রাজ্যের প্রত্যেক বুথে যাতে অন্তত ৫০ জন দলীয় কর্মী উপস্থিত হয়ে দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেন, সেই দায়িত্ব নিতে হবে প্রত্যেক বুথ সভাপতিকে।

১৯৯৩ সালে ২১ জুলাই  মহাকরণ অভিযানে পুলিশের গুলিতে নিহত ১৩ জন বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রতি বছর এই দিনটি শহিদ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস৷