শহরে বৃষ্টি। Image used for representational purpose | (Photo Credits: PTI)

কলকাতা, ৫ মার্চ: কয়েকদিন ধরেই মেঘলা আকাশ, ঝোরো হাওয়ার সঙ্গে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি (Rainy Weather)। এটাই বাংলার আবহাওয়ার রোজনামচা হয়ে গিয়েছে। বুধবার সারাটা দিন চলেছে মেঘ রোদ্দুরের খেলা। দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলিতে তুমুল বৃষ্টিপাতও হয়েছে। রাত নামতেই শহর কলকাতা ও লাগোয়া জেলাগুলিতে শুরু হয় দমকা হাওয়ার সঙ্গে বজ্রবিদ্যৎ-সহ বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার সকালেও সেই আবহাওয়ার কোনও হেরফের হল না। ভোরের দিকে বৃষ্টি না হলেও আটটা বাজতে না বাজতেই শুরু হল বৃষ্টি। কোথাও ঝিরিঝির তো কোথাও মুষলধারায়। সঙ্গে গুরু গুরু মেঘের গর্জন। আলিপুর হাওয়া অফিসের তথ্য বলছে মর্নিং শোজ দ্য ডে। তাই আজ আর আবহাওয়ার পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই।

পূর্বাভাস অনুযায়ী আজও দিনভর বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায়। দার্জিলিং-সহ পাহাড়ি জেলাগুলোতে এবং সমতলের হাওড়া, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে হাল্কা থেকে ভারী বৃষ্টি হবে। এদিকে রাত থেকে বৃষ্টির জেরে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, সারাদিনই মেঘলা আকাশ থাকবে। সন্ধের পরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। অন্যদিকে গত চব্বিশ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একদিকে করোনাভাইরাসের ত্রাস অন্যদিকে বসন্তে বৃষ্টির হুমকি। গরম উধাও হলেও এই আবহাওয়ায় সর্দি কাশি ঠান্ডা লাগা জ্বরের প্রকোপ বাড়বে। তাই যতটা সম্ভব নিজেকে বাঁচিয়ে চলা যায়, ততটাই ভাল।  আরও পড়ুন-PK Banerjee’s Condition Stable: কিংবদন্তী ফুটবলার পিকে ব্যানার্জির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, জানালো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কমিটি

আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে পুবালী হাওয়া ও পশ্চিমী ঝঞ্ঝার মতো দুই বিপরীত ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবেই এই অকাল বর্ষণ। তবে এটি প্রি মনসুন বর্ষা। টানা  বৃষ্টি না হলেও গোটা রাজ্যে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলবে কদিন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতে বৃষ্টির পরিমাণ এক থাকবে না। পশ্চিমের জেলাগুলিতে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।