কলকাতা, ২৯ মে: রাজ্যে দ্রুত বাড়ছে করোনা সংক্ৰমণ। তা নিয়ে চিন্তিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)। আজ নবান্নে ফের সাংবাদিক বৈঠক করে কেন্দ্রকে একহাত নিলেন তিনি। রাজ্য সরকার পরিযায়ী শ্রমিক ফেরাতে রেলকে অর্থদান করছে। কিন্তু তার বদলে মিলছে না যথাযথ পরিষেবা। তিনি বলেন হটস্পট থেকেও গাদাগাদি করে যাত্রী তোলা হচ্ছে ট্রেনে। রেল কোনও সামাজিক দূরত্ব মানছে না বলে ক্ষোভ উগরে দেন। করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় বাড়ার জন্য কেন্দ্রের দিকে ফের আঙ্গুল তুললেন তিনি।
আজ মুখ্যমন্ত্রী আবারও জানান বাসে ২০ জনের বেশি তোলা যাবে না এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর ছড়ানো নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আগামী ১ জুন থেকে খুলছে মন্দির, মসজিদ, গুরুদ্বারা, গির্জা-সহ সমস্ত ধর্মস্থান। তবে তার জন্যেও মানা হবে বিধিনিষেধ। ১০ জনের বেশি মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। মন্দির স্যানিটাইজ করতে হবে। ধর্মস্থানগুলিতে স্যানিটাইজার রাখতে হবে। তবে বড় কোনও উৎসব করা যাবে না। ধর্মস্থানের পাশাপাশি পুরোপুরি খুলে যাচ্ছে সরকারি, বেসরকারি অফিসগুলি। চা এবং পাটশিল্পও সমূর্ণ খোলা হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। আরও পড়ুন, কোমরবিডিটি, প্রসূতি, শিশু-বৃদ্ধদের শ্রমিক ট্রেনে পরিবহন না করার আর্জি জানাল ভারতীয় রেল
আম্ফানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯৮ বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি জরুরি ঘোষণাও করেছেন তিনি। দুর্গতদের জন্য ত্রাণ তহবিল গঠন করার কথা ঘোষণা করেন। ৬ হাজার ২ও কোটি টাকার ফান্ড তৈরি হবে বলে জানান। ৫ লক্ষ পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। বাকি ২৮ হাজার টাকা ১০০ দিনের কাজের মধ্যে দিয়ে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। পানের বরজ, ১০০ দিনের কাজ, টিউবয়েল, স্কুল মেরামতি, মৎস দফতরগুলির পুনর্গঠন ও মেরামতির জন্য অনুদানের ঘোষণা করেন। এছাড়াও, বহু প্রকল্পের জন্য অনুদানের ঘোষণা করেন তিনি। আজ ১ লক্ষ্য পরিবারকে ইতিমধ্যে অর্থ দেওয়া হয়েছে।