প্রতীকী ছবি (Photo Credit: PTI)

নতুন দিল্লি, ২৯ মে: অতিরিক্ত গরমে ডিহাইড্রেশন আর খিদের কারণে সোমবার থেকে মোট ৯ জন পরিযায়ী শ্রমিক ট্রেনেই প্রাণ হারিয়েছেন। মৃতদের মধ্যে ছিলেন একজন মহিলাও। গত ১ মে থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের (Migrant Labours) নিজের রাজ্যে ফেরাতে ট্রেন (Shramik Special Trains) চালাচ্ছে ভারতীয় রেল। এর আগেও বেশ কয়েকটি নন-এসি ট্রেনে কয়েকটি মৃত্যুর খবর নথিভুক্ত হয়েছে। বুধবার এই প্রসঙ্গে রেল তার বিবৃতিতে জানায় ট্রেনে মৃত শ্রমিকরা আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন।

ট্রেনে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনার পর রেল সাফ জানিয়ে দেয় যারা আগে থেকেই রোগাক্রান্ত অর্থাৎ যারা ডায়াবেটিস, হাইপার টেনশন, হৃদরোগ, ক্যান্সারের মতো রোগী-সহ প্রসূতি এবং ১০ বছরের নিচে বয়স বাচ্চাদের ও ৬৫ বছরের ঊর্ধ্ব বয়স্কদের ট্রেনে না ওঠার আর্জি জানিয়েছে। তবে অত্যন্ত জরুরি হয়ে থাকলে তারা ট্রেনে আসতে পারেন। রেল কর্তৃপক্ষের দাবি-"কোমরবিডিটি রোগীরা যারা ট্রেনে যারা যাতায়াত করছেন তারা COVID-19 মহামারী চলাকালীন ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তুলছেন। তাই যাত্রাপথে এরকম মৃত্যুর কয়েকটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে।" আরও পড়ুন, স্পেশ্যাল ট্রেনে সোমবার থেকে ৯ পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে, জানালো রেল

সোমবার থেকেই উত্তরপ্রদেশ ও বিহারগামী ট্রেনের শ্রমিকদের মৃত্যুর খবর এসেছে। যদিও দুই রাজ্য ও রেলের তরফে মৃত্যুর খতিয়ান আসে বুধবার। আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের সহযোগী সঞ্জয় যাদব, বিহার রেল স্টেশনের মৃত শ্রমিক মায়ের শিশুপুত্রের ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওটিতে দেখা যায়, খুদে সন্তান তার মৃত মাকে বার বার জাগানোর চেষ্টা করছে। এরপরই সুপ্রিম কোর্ট ঘোষণা করে ট্রেনে পর্যাপ্ত জল এবং খাবারের ব্যবস্থা করা বাধ্যতামূলক।

তারা আরও জানায়, দেশের সকল নাগরিক যাতে পর্যাপ্ত রেল পরিষেবা সরবরাহ করা হয় তা নিশ্চিত করতে রেল ২৪x৭ কাজ করছে। "আমরা এই বিষয়ে সকল নাগরিকের সহযোগিতা কামনা করছি। কোনও বড় সমস্যা বা জরুরী পরিস্থিতি ছাড়া রেলপথে পরিবহন করবেন না এবং আমরা আপনাকে সর্বদা সহায়তা করব। দুটি দুটি হেল্পলাইন নম্বর - ১৩৯ এবং ১৩৮ দেওয়া হয়েছে।