কলকাতা, ২৬ মে: ঘূর্ণিঝড় রিমেলের চোখরাঙানি পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে শহর কলকাতাতেও। জারি রয়েছে লাল সতর্কতা। প্রবল ঝড়বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে শহরে। এই অবস্থায় কলকাতা পুরসভা কতটা তৎপর রয়েছে তা রবিবার রাতে সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে জানালেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। এদিন তিনি জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই শহরে জমা জল কমানোর কাজে লাগবে পুরকর্মীরা। যত দ্রুত সম্ভব জমা জল পরিস্কার করে মহানগরের রাস্তা স্বাভাবিক করানো এবং ভেঙে পড়া গাছ সরিয়ে দেওয়া অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন ফিরহাদ হাকিম।
সেই সঙ্গে তিনি জানান, প্রতিটি এলাকায় কলকাতা পুরসভার সদস্যদের সক্রিয় রাখা হয়েছে। কোনও সমস্যা হলেই যুদ্ধকালিন তৎপরতার সাথে সমাধান করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পাম্পিং স্টেশনগুলিও রাতে খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে পুরসভার কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে সরজেমিনে খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়ে দেন মেয়র। পাশাপাশি শহরবাসীর কাছে তিনি আবেদন করেন, এনডিআরএফের তরফে চিহ্নিত কোনও বিপজ্জনক বাড়িতে কেউ বসবাস করলে সেখান থেকে আপাতত যেন তাঁরা সরে যায়।
#WATCH | Cyclone Remal | West Bengal: Kolkata Mayor Firhad Hakim briefs on the measures taken to manage the after-effects of the cyclone.
He says, "We will start clearing the water and making the city normal again as soon as it is completed. Our teams are present in every… pic.twitter.com/25qYUS2zlb
— ANI (@ANI) May 26, 2024
প্রসঙ্গত, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক এলাকায় ইতিমধ্যেই আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় রিমেল। ফুলেফেঁপে উঠেছে নদী। লাল সতর্কতা জারি রয়েছে মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলিসহ সাতটি জেলায়। বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে মোতায়েন করা হয়েছে এনডিআরএফের সদস্যদের। একাধিক এলাকায় ঘর বাড়ি ভেঙে পড়ার খবর আসছে। তবে বেশিরভাগ এলাকা থেকেই স্থানীয় মানুষজনকে আগে থেকে ত্রাণশিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।