
যাদবপুর ইস্যু নিয়ে এই মুহূর্তে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, অধ্যাপক তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ওমপ্রকাশ মিশ্রের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তবে তারপরেও তাঁদের এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি যাদবপুর থানার পুলিশ। এর প্রতিবাদে এবার রাস্তায় নামল শুভেন্দু অধিকারীরা। রবিবার দুপুরে দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুরের রাস্তায় বিজেপির নেতাকর্মীরা মিছিল বের করেন। যোগ দেন অসংখ্য কর্মী সমর্থকেরা। আর এই নিয়ে সমালোচনা শুরু করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
বিজেপির মিছিল নিয়ে কটাক্ষ কুণালের
কুণালের বক্তব্য বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি এতটাই দুর্বল যে যে এলাকায় মিছিল বের করছে, সেখানেই তাঁরা মিছিলে হাঁটার মতো কর্মী সমর্থকদের জোগাড় করতে পারছে না। ভিড় বাড়াতে নন্দীগ্রাম থেকে মানুষ আনতে হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে কুণাল সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষের সুরে বলেন, "বিজেপির হাল! মিছিল যাদবপুর ইস্যুও যাদবপুরে। কিছু লোক আনতে হল নন্দীগ্রাম থেকে। কোনো একটি এলাকায় সেখানকার জমায়েত করার ক্ষমতা নেই। তাছাড়া বিরোধী দলনেতার মিছিল অন্য শিবির না এসে ডোবাবে বলে নিজেই কিছু লোক জোগাড়ের ব্যবস্থা করতে হয়েছে। বুঝুন দলটার অবস্থা"।
কুণাল ঘোষের পোস্ট
বিজেপির হাল!! মিছিল যাদবপুর ইস্যুতে যাদবপুরে। কিছু লোক আনতে হল নন্দীগ্রাম থেকে। কোনো একটি এলাকায় সেখানকার জমায়েত করার ক্ষমতা নেই। তাছাড়া বিরোধী দলনেতার মিছিল অন্য শিবির না এসে ডোবাবে বলে নিজেই কিছু লোক জোগাড়ের ব্যবস্থা করতে হয়েছে। বুঝুন দলটার অবস্থা। pic.twitter.com/kfdgnWzbno
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) March 9, 2025
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক ঘটনা
প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েবকুপারের বার্ষিক সমাবেশ ঘিরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখায় বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই। আর তাঁদের আটকাতে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনও ঘটনাস্থলে আসে। যার জেরে রণক্ষেত্র চেহাড়া নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। অসুস্থ হন খোদ শিক্ষামন্ত্রী। অভিযোগ, তাঁর গাড়ির ধাক্কায় আহত হয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়া