Rohit Sharma. (Photo Credits: X)

টানা দু বছর আইসিসি টুর্নামেন্টে অপরাজিত থেকে ট্রফি জিতল টিম ইন্ডিয়া। ১১ বছর পর গত বছর আইসিসি টুর্নামেন্টে ট্রফি জিতেছিল ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে আইসিসি টি টোয়েন্ট বিশ্বকাপ ২০২৪-চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রোহিত শর্মার টিম ইন্ডিয়া। আর বারবার বড় ম্যাচে হোঁচট খাওয়া টিম ইন্ডিয়া টানা দু বছরে দুটো বড় কাপ জিতে ফেলল। বোঝাই যাচ্ছে, স্নায়ুর লড়াইয়ে জিতে শিখে গিয়েছেন রোহিতরা।

২০২৩ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত আইসিসি টুর্নামেন্টে ২৫টি-র মধ্যে মাত্র একবার অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেছে টিম ইন্ডিয়া। এতটাই ধারাবিহক রোহিতরা।

আরও পড়ুন- দুবাইয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন টিম ইন্ডিয়া

এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে রোহিতদের কাপ জয়ের প্রধান সাত কারণ

১) দলের সবার অবদান--

দলের সবাই ট্রফি জয়ে অবদান রাখলেন। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের মত সিনিয়ররা ব্যাট হাতে অনবদ্য। শ্রেয়স আইয়ার ধারাবাহিকভাবে ভাল খেললেন। ম্যাচ ফিনিশারের ভূমিকায় কেএল রাহুল দারুণ। চোট সারিয়ে ফিরে বল হাতে কয়েকটি ম্যাচে জ্বলে উঠলেন মহম্মদ সামি। হার্দিক পান্ডিয়াও ধারাবাহিকভাবে ব্যাট ও বল হাতে দলের জয়ে অবদান রাখলেন। দলের চার স্পিনারও নিজেদের ভূমিকা পালন করলেন। সব মিলিয়ে দলগত সংহতির জয়।

২) বরুণ চক্রবর্তীর উত্থান-

নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচ থেকে বরুণ চক্রবর্তীকে প্রথম একাদশে নেওয়া হয়। হর্ষিত রানার পরিবর্তে বিষ্ময় স্পিনার বরুণ সুযোগ পেয়েই ফুল ফোটালেন। প্রথম ম্য়াচেই ৫ উইকেট সহ পুরো টুর্নামেন্টে তিনটি ম্যাচ খেলে মোট ৯টি উইকেট নিলেন। বরুণের ম্যাজিক এবার কাপ জেতাল রোহিতদের।

৩) শ্রেয়স আইয়ারের দারুণ ব্যাটিং--

ওয়ানডে ক্রিকেটে গত দু তিন বছর ধরে শ্রেয়স আইয়ারই সবচেয়ে ধারাবাহিক ক্রিকেটার। এবাররে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে শ্রেয়সই ভারতের সবচেয়ে বেশী রান সংগ্রহকারী ব্যাটার। গ্রুপের খেলায় পাকিস্তান ও নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫৬ ও ৭৯ রানের দারুণ ইনিংস সহ শ্রেয়স মোট ২৪৩ রান করলেন।

৪) ফিনিশার রাহুলের অবদান-

ফাইনাল ও সেমিফাইনালে ফিনিশারের ভূমিকায় অনবদ্য কেএল রাহুল। ফিনিশার রাহুলের অবদান অনেক।

৫) রোহিত শর্মার অধিনায়কত্ব-

শুধু ব্যাট হাতে ফাইনালের অতি গুরুত্বপূর্ণ ৭৬ রানের ইনিংসই নয়, অধিনায়ক হিসেবেও রোহিত অনবদ্য়।

৬) চার স্পিনারের পার্টনারশিপ

কুলদীপ যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল ও বরুণ চক্রবর্তী। দুবাইয়ের পিচে এই চার স্পিনারের তালমিল ছিল দেখার মত। চার স্পিনার অস্ত্রেই কাপ জিততে সুবিধা হল টিম ইন্ডিয়ার।

৭) এবং বিরাট কোহলি-

গ্রুপ লিগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অনবদ্য সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলের মনোবল অনেকটা বাড়িয়ে দেওয়া থেকে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৮৪ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে বিরাট আরও একবার বড় মঞ্চে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করলেন।

কীভাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেতাব জিতল টিম ইন্ডিয়া:

গ্রুপ লিগ:

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৬ উইকেট জয়। ম্যাচের সেরা- শুবমন গিল।

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৬ উইকেটে জয়। ম্যাচের সেরা- বিরাট কোহলি।

নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৪৪ রানে জয়ী। ম্যাচের সেরা- বরুণ চক্রবর্তী

সেমিফাইনাল

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৪ উইকেটে জয়ী। ম্যাচের সেরা- বিরাট কোহলি।

ফাইনাল

নিউ জিল্যান্ডকে ৪ উইকেটে পরাজিত। ম্যাচের সেরা-রোহিত শর্মা।

টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটার: রচিন বরীন্দ্র (নিউ জিল্যান্ড)

ফাইনালের সেরা ক্রিকেটার: রোহিত শর্মা (ভারত)

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের কাপ জয়

২০০২ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি: আয়োজক: শ্রাীলঙ্কা

শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন। অধিনায়ক: সৌরভ গাঙ্গুলি

২০১৩ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি: আয়োজক: ইংল্যান্ড

ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে। অধিনায়ক: এম এস ধোনি

২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি: আয়োজক: পাকিস্তান ও ইউএই

ফাইনালে নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়ে। অধিনায়ক: রোহিত শর্মা