সন্দেশখালি, ১২ ফেব্রুয়ারিঃ সন্দেশখালি জুড়ে বিশৃঙ্খলার চিত্র। বিগত কয়েকদিন যাবত জ্বলছে তৃণমূলের 'দাপুটে নেতা' শেখ শাহজাহানের এলাকা। এবার সন্দেশখালির পরিস্থিতি পরিদর্শনে যাচ্ছেন স্বয়ং রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। সাংবাদিকদের জানালেন, আজ সোমবারই সেখানে যাবেন তিনি। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) গলি থেকে কী 'সন্দেশ' (খবর) পাওয়া যায় তা রাজ্যপাল নিজে গিয়ে খতিয়ে দেখবেন। এদিন তিনি এও জানিয়েছেন, কেরলে একটি সপ্তাহব্যাপী বেঙ্গল ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই ছিলেন তিনি। কিন্তু সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ছড়িয়ে পড়া উত্তেজনার কথা জানা মাত্র কেরলের কর্মসূচি বাতিল করে বঙ্গে ফেরেন। নিজে গিয়ে সন্দেশখালির অবস্থা বুঝবেন তিনি।
এলাকার তৃণমূল নেতাদের (TMC Leader) বিরুদ্ধে জোর করে জমি কেড়ে নেওয়া, মহিলাদের সঙ্গে অশালীন আচরণ, সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার ইত্যাদি নানা অভিযোগ তুলে বুধবার থেকেই বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন গ্রামবাসী। বেপাত্তা শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) ঘনিষ্ঠ শিবপ্রসাদ হাজরা, উত্তম সর্দারকে গ্রেফতারির দাবি তুলে সরব হয়েছিল গোটা সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। আন্দোলনের নেতৃত্বে শুরু থেকেই দেখা গিয়েছে গ্রামের মহিলাদের। শিবু, উত্তমের পোল্ট্রি, খামারে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারাও জারি করা হয়। সেখানে দিনভর চলছে পুলিশের লংমার্চ। সন্দেশখালি সহ বসিরহাটের বিস্তীর্ণ এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যদিও এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা, ইন্টারনেট বন্ধ করাকে অনুচিত বলে পালটা দাবি করেছে বিজেপি (BJP)। বিরোধী দলের অভিযোগ, সন্দেশখালিতে কী লুকানোর চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার।
টানটান উত্তেজনার মাঝে শনিবার সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থেকে তৃণমূলের উত্তর সর্দার এবং বিজেপির বিক্রম সিংহকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার কলকাতার বাঁশদ্রোণী থেকে গ্রেফতার হন সন্দেশখালির প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক নিরাপদ সর্দার। রাজনৈতিক মহলের পর্যবেক্ষন, তিন দলের তিন নেতাকে গ্রেফতার করে প্রশাসন বার্তা দিতে চাইছে, সন্দেশখালির ঘটনায় কেবল শাসকদলই নয়, জড়িত বিরোধীরাও। যদিও গ্রামবাসীদের অভিযোগ, উত্তর গ্রেফতার হলেও 'মাথা' শিবপ্রসাদ এখনও কেন অধরা! কেন তাঁকে এখনও গ্রেফতার করছে না পুলিশ।