
সনাতন ধর্মে মাসিক কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর তাৎপর্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বৈদিক ক্যালেন্ডারের অনুযায়ী, চৈত্র মাসের মাসিক কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী উৎসব পালন করা হবে ২২ মার্চ। এই শুভ তিথিতে শ্রীকৃষ্ণের বিশেষ পুজো করা হয়। জীবনে সুখের আশীর্বাদ পেতে অথবা সন্তানদের সুস্বাস্থ্য এবং সমৃদ্ধি জন্য মাসিক কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীতে কিছু বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। মাসিক কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর দিনে শ্রীকৃষ্ণের ১০৮টি নামের মন্ত্র জপ করলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায় এবং জীবনের ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে পাওয়া যায়।
মাসিক কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীতে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে দই ও মধু দিয়ে অভিষেক করার পর হলুদ ফুল এবং পোশাক অর্পণ করা হয়। মাসিক জন্মাষ্টমীতে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে বাঁশি নিবেদন করার পর অভিষেক করা যেতে পারে। এমন করলে ভগবানের আশীর্বাদ লাভ হয়। মাসিক জন্মাষ্টমীতে শ্রীকৃষ্ণকে গঙ্গাজল দিয়ে অভিষেক করিয়ে হলুদ চন্দন লাগালে ভগবান খুব খুশি হন। শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদ পেতে, মাসিক জন্মাষ্টমীতে লাড্ডু গোপালের সেবা করা উচিত।
মাসিক জন্মাষ্টমীতে কাঁচা দুধ এবং গঙ্গা জল দিয়ে ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে অভিষেক করালে ঘরে কখনও ধন-সম্পদ এবং খাদ্যের অভাব হয় না। মাসিক জন্মাষ্টমীতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য গরুকে পশুখাদ্য খাওয়ানোর সহজ সমাধানটি অবলম্বন করা উচিত। মাসিক জন্মাষ্টমীতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে লাড্ডু, মাখন, চিনির মিছরি নিবেদন করলে এবং ময়ূরের পালক অর্পণ করলে ঘরে সুখ আসে। এছাড়া মাসিক জন্মাষ্টমীতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে তুলসী পাতা এবং ক্ষীর নিবেদন করলে ঘরের সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়।