রাজভবন, ৫ মে: তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)৷ এদিন নির্ধারিত সময়েই রাজভবনে পৌঁছান মমতা৷ রাজভবনে একেবারে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠান সীমিত সংখ্যক আমন্ত্রিতর উপস্থিতিতে হল শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান৷ অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত এই অনুষ্ঠানে শপথগ্রহণের পরেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করলেন তৃতীয়বারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এরপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও সৌজন্য বিনিময় করলেন রাজ্যপাল৷ জগদীপ ধনখড়ের সৌজন্য বিনিময়ের তালিকা থেকে বাদ পড়লেন না ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর৷ এবার চলে ফোটো সেশন৷ শপথ নেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবাইকে ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা জানালেন৷ তালিকায় রাজ্যাপল, তাঁর পরিবার, সাংবাদিকরাও সেই তালিকায় ছিলেন৷
মা মাটি মানুষের সরকারের তরফে রাজ্যবাসী, দেশবাসী, বিশ্ববাসীকে ধন্যবাদ জানান তিনি৷ মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসেই প্রথমে কোভিড নিয়ন্ত্রণকে প্রাধান্য দেওয়ার কথা বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ দ্বিতীয় কাজ হিসেবে রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী যে অশান্তি চলছে তা নিয়ন্ত্রণ করবেন তিনি৷ বাংলা অশান্তি পছন্দ করে না৷ তিনিও তা করেন না৷ এবং যারা এই অশান্তি করছে তাদের চিন্তিত করে কড়া শাস্তির বন্দোবস্ত করার আশ্বাসও দেন তিনি৷ বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলনে বিস্তারিত বলবেন বলেও জানান৷ কোভিড পরিস্থিতিতে ছোট করে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান করার জন্য সবার কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেন তিনি৷ কোভিড চলে গেলে ব্রিগেডে অনুষ্ঠান করবেন, সকলকে আমন্ত্রণও জানাবেন৷ একথাও বলেন মমতা৷
Mamata Banerjee takes oath as the Chief Minister of #WestBengal for a third consecutive term. She was administered the oath by Governor Jagdeep Dhankhar. pic.twitter.com/IXy05xNZPZ
— ANI (@ANI) May 5, 2021
এদিকে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় রাজ্যজুড়ে অশান্তির প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বোন সম্বোধন করে বলেন৷ নতুন সরকার সেই সমস্যার সমাধান হবে এমনটাই মনে করেন তিনি৷ তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী হওয়া মুখের কথা নয়, সেজন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন জানাতে ভোলেননি রাজ্যপাল৷ আরও পড়ুন-Mamata Banerjee Swearing In Ceremony: তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
এদিকে রাজ্যপালের মন্তব্যের পরেই মমতা বলেন, নবান্নে পৌঁছে বৈঠক করবেন৷ গত তিনমাস তিনি প্রশাসনিক কাজ করতে পারেননি, কমিশনের নির্দেশ অনুসারে৷ তবে পুলিশ কাজ করেছে৷ আর কমিশন নিজের মতো করে পুলিশ প্রশাসনকে সরিয়েছে৷ এই যে হিংসার ঘটনা রাজ্যজুড়ে ঘটছে, তার দায় নির্বাচন কমিশনের৷ যেখানে বিজেপি বেশি সেখানেই যে হামলা চলছে, তা মনে করাতে কালক্ষেপ করেননি মুখ্যমন্ত্রী আজ রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখার দায়িত্ব তাঁর হাতে এল নবান্নে গিয়ে বৈঠক করে যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেবেন তিনি৷