ছোট শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সের মানুষের জন্য স্বাস্থ্যকর পানীয় হল দুধ। দুধের মধ্যে রয়েছে অনেক ধরনের পুষ্টিকর গুণ। ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ দুধ শরীরের সার্বিক বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুধের উপকারিতা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রতি বছর ১ জুন পালন করা হয় বিশ্ব দুগ্ধ দিবস। এই দিনের উদ্দেশ্য হল দুগ্ধ শিল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত কার্যকলাপে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা ২০০১ সালে পালন করা শুরু করে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস।

বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালন করা হয় বিশ্ব দুগ্ধ দিবস। এই দিনটি পালন করার প্রধান উদ্দেশ্য হল দুধের উপকারিতা এবং গুরুত্ব সম্পর্কে জনগণকে শিক্ষিত করার পাশাপাশি দুধ কীভাবে স্থানীয় অর্থনীতি ও সম্প্রদায়ের উপকার করে সেই বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানো। FAO এর মতে, দুগ্ধজাত দ্রব্য খায় প্রায় ছয় বিলিয়ন মানুষ। এছাড়া এক বিলিয়নেরও বেশি মানুষ জীবিকা হিসেবে বেছে নিয়েছে দুগ্ধ ব্যবসা‌।

প্রতি বছর সারা বিশ্বে ১ জুন পালন করা হয় বিশ্ব দুগ্ধ দিবস এবং প্রতি বছর ভারতে ২৬ নভেম্বর পালন করা হয় বিশ্ব দুগ্ধ দিবস। শ্বেত বিপ্লবের জনক ডাঃ ভার্গিস কুরিয়ানের জন্মদিন উপলক্ষে ভারতে পালন করা হয় এই দিনটি, তিনি 'মিল্ক ম্যান' নামেও পরিচিত। ১৯৭০ সালে ডাঃ ভার্গিস কুরিয়ান সূচনা করেছিলেন শ্বেত বিপ্লবের। এই বিপ্লবের উদ্দেশ্য ছিল ভারতে দুধ উৎপাদনের প্রচার করা। ১৯৬৫ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত, ডাঃ ভার্গিস কুরিয়ান ছিলেন জাতীয় দুগ্ধ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান। এই সময়কালে দেশের প্রতিটি কোণে দুধ উৎপাদন প্রচারের চেষ্টা করেন তিনি। বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম দুধ উৎপাদনকারী দেশগুলির মধ্যে একটি হল ভারত।