কলকাতা, ২৭ মে: ভোট পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আগামী পয়লা জুন বৈঠকে বসছে ইন্ডিয়া শিবিরের দলগুলি। কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, সমাজবাদী পার্টি, ডিএমকে, এনসিপি (শরদ পাওয়ার), শিবসেনা (উদ্ভব ঠাকরে)-র মত বিরোধী শিবিরের দলগুলি INDIA-র বৈঠকে উপস্থিত থাকতে চলেছে। ভোটের ফলের পর পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে বিরোধীদের রণকৌশল ঠিক করতেই দিল্লিতে হবে এই বৈঠক। কিন্তু ইন্ডিয়া শিবিরের এই বৈঠকে থাকছেন না তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বাংলার উপকূলবর্তী বিভিন্ন অংশে বড় ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টিতেও রাজ্যের বিভিন্ন অংশের প্রভাবিত হয়েছে। তাই সেই সময়টা নবান্নে থেকে ত্রান ও পুনর্বাসনের কাজ তদারকি করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।
ফলে মমতা থাকতে পারছেন না INDIA-র বৈঠকে। তবে মমতা জানিয়েছেন, সেদিন তিনি ইন্ডিয়ার বৈঠকে না থাকলেও তার হৃদয় সেখানে থাকবে। খুব সম্ভবত সাত দফার ভোট শেষে রবিবার ইন্ডিয়ার বৈঠকে তৃণমূলের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত থাকতে পারবেন সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন।
দেখুন ভিডিয়ো
#Watch: #TMC supremo #MamataBanerjee to skip India bloc meeting scheduled to be held on June 1 due to elections, cyclone & relief works in the affected area.
Says, “I may not be there to attend the meeting but my heart will be there.” pic.twitter.com/ni5ghwY8O9
— Pooja Mehta (@pooja_news) May 27, 2024
এবার লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা হয়নি তৃণমূল। বাংলায় মুখোমুখি লড়াই হওয়া ইন্ডিয়া শিবিরকে কিছুটা এড়িয়েই চলে তৃণমূল। তবে অরবিন্দ কেজরিওয়াল, হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ইন্ডিয়া-র মহাজনসভায় প্রতিনিধি পাঠিয়েছিলেন মমতা। দিদির পাশেই আছে দল, সেটা বোঝাতে অধীর চৌধুরীকেও প্রকাশ্যে কড়া বার্তা দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জন খাড়গে।
ইন্ডিয়া শিবিরের হিসেব হল, যেভাবে ভোট হয়েছে তাতে বিজেপি-র পক্ষে ২৫০-র বেশী আসন পাওয়া কঠিন হবে। দক্ষিণ ভারতে বিজেপি বড়জোড় ১৫টি আসন পেতে পারে। বাংলা, মহারাষ্ট্র, বিহার, ঝাড়খণ্ড, রাজস্থানে আসন বিজেপির আসন কমছে সেটাও নিশ্চিত ইন্ডিয়া শিবিরের নেতারা। উত্তর প্রদেশে তৃতীয় ও চতুর্থ দফায় খেলা ঘুরিয়ে বিজেপিকে ধাক্কা দেওয়া গিয়েছে বলে আশায় ইন্ডিয়া-র নেতা।
আর এইসব হিসেবে মিলে গেলে সেক্ষেত্রে ইন্ডিয়া-র কাছে সরকার গড়ার সুযোগ চলে আসতে পারে। সেই সময় যাতে সবার মধ্যে সম্বন্বয় ঠিক থাকে,তা নিয়ে ইন্ডিয়া শিবিরের বৈঠকে আলোচনা হতে পারে।
কংগ্রেস যদি ৮০- ৯০টি আসন জিততে পারে, বিজেপি ২৪০-র নিচে নেমে যায় আর মমতা বাংলা থেকে ৩২-৩৫ আসন পান তাহলে জাতীয় রাজনীতিতে জোড়া ফুলের ভূমিকা বড় হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তৃণমূল নেতারা এখন হিসেবে যাচ্ছেন না। পঞ্চম ও ষষ্ঠ দফার মত যাতে শনিবার শেষ দফাতেও সংগঠন মাঠে নেমে কাজ করে বিজেপিকে পরাস্ত করতে পারে তার প্রস্তুতিতেই ব্যস্ত জোড়াফুল শিবিরের নেতারা।