
কলকাতা, ২৬ ফেব্রুয়ারি: মেঘলা আকাশ আর ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে ফের শীতের উঁকিঝুঁকি, সোয়েটার গুছিয়ে বাঙালি বেশ বিপাকে পড়েছে। সোমবার বেলা গড়াতেই মেঘলা আকাশে আরও মুখভার করে আসে। দুপুরে শুরু হয় বৃষ্টি (Rainy day)। মঙ্গলবার দিনভর মেঘে ঢেকেছিল আকাশ। সারাদিন অল্প বিস্তর বৃষ্টি হয়েছে সঙ্গে হাওয়া। বুধবারও সেই পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হবে না। এমনটাই জানাল, আলিপুরের হাওয়া অফিস। তবে দক্ষিণবঙ্গে এদিন বৃষ্টি কমলেও উত্তরবঙ্গে কিন্তু পরিস্থিতি একই থাকছে। এদিকে এই দুদিনের বৃষ্টির কারণে ফের শীতের অনুভূতি ফিরে এসেছে দক্ষিণবঙ্গে। কলকাতা ও শহরতলিও তা থেকে বাদ যায়নি। সকালের দিকে বৃষ্টি হওয়ায়, তার জেরে শীতভাব অনুভূত হয়েছে। মেঘলা আকাশ থাকার কারণে রাতের তাপমাত্রা খুব একটা নামেনি।
বুধবার সকাল থেকে রোদের দেখা মেলেনি। স্বাভাবিকভাবে পারদ নেমে যায়। মঙ্গলবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হাওয়া অফিস সূত্রের খবর, বিহার সংলগ্ন একটি ঘূর্ণাবর্তের কারণে চলতি সপ্তাহে বৃষ্টি হয়। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস বলেন, দক্ষিণ বিহার ও সংলগ্ন এলাকায় একটি ঘূর্ণাবর্ত থাকার কারণেই বৃষ্টি হচ্ছে। ওই ঘূর্ণাবর্ত থেকে দু’টি নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি হয়েছে। যা উত্তরবঙ্গ হয়ে অসম ও বাংলাদেশ পেরিয়ে মণিপুর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। অন্যটি তেলেঙ্গানা, ঝাড়খণ্ড ও সংলগ্ন এলাকার উপর। এর ফলে গোটা পূর্ব ভারতে কমবেশি বৃষ্টি হচ্ছে। বুধবার রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলির পাশাপাশি নদিয়া ও মুর্শিদাবাদে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে হালকা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বেশি বৃষ্টি হবে না। আরও পড়ুন-Delhi On Edge: রক্তাক্ত রাজধানীতে মঙ্গলবারেও থামল না সংঘর্ষ, পরিস্থিতি সামলাতে তৃতীয় বৈঠকে অমিত শাহ
জানা গিয়েছে, ঘূর্ণাবর্তের রেশ কাটতে কাটতে বৃহস্পতিবার। পাহাড় থেকে সমতল সব জায়গাতেই বৃষ্টি হবে। আকাশকে মুড়েই রাখবে মেঘ।তবে বৃষ্টি শেষে নতুন করে ঠান্ডা পড়ার সুযোগ আর নেই। মেঘলা আকাশের কারণে দিনের তাপমাত্রা কমলেও, তাতে শীত ফেরার আশা নেই। তবে এই দুর্যোগের প্রভাব উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হবে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের উপর একটি রয়েছে। তার জেরে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প উঠে আসছে স্থলভূমিতে। ওই ঘূর্ণাবর্ত জলীয় বাষ্প টেনে নেওয়ায়, দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।