নতুন দিল্লি, ২৬ ফেব্রুয়ারি: একদিকে চলছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজকীয় সফর, আর একদিকে জ্বলছে দিল্লি (Delhi Police)। একেবারে ভয়াবহ ভাবে। পূর্ব দিল্লির তেগবাহাদুর সিং হাসপাতালে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুলিবিদ্ধের সংখ্যা অসংখ্য। রাষ্ট্রীয় অতিথির সামনে যাতে আরও অপ্রীতিকর কিছু ঘটে না যায়, সে জন্য মঙ্গলবার যথেষ্ট ওয়াকিবহাল ছিল কেন্দ্র। তা সত্ত্বেও লাভ হয়নি। ক্রমেই বেড়ে চলেছে হিংসা ও গোষ্ঠী সংঘর্ষ৷ দিল্লি পুলিশের তরফে দায়ের করা হয়েছে ১১টি এফআইআর৷ মঙ্গলবার দুপুর থেকে নজরদারির কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে ড্রোন৷ দিল্লির ১০টি এলাকায় জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা৷
পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে দেশের রাজধানী দিল্লিতে। দিল্লির চার জায়গায় জারি হয়েছে কারফিউ। সেইসঙ্গে জারি হল 'শ্যুট অ্যাট সাইট' (দেখা মাত্র গুলি)-এর অর্ডার। মৌজপুর, চাঁদবাগ, করওয়ালনগর, জাফরাবাদে জারি হয়েছে কারফিউ। উসকানিমূলক মন্তব্য করলেই গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে এসএন শ্রীবাস্তবকে স্পেশাল কমিশনার (আইন-শৃঙ্খলা) নিয়োগ করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। আহতের মধ্যে ডিসি (শাহদরা) অমিত শর্মাও বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভর্তি। হিংস্র জনতা তাঁর উপরে লাঠি নিয়ে চড়াও হয়েছিল। তাঁর মাথার খুলিতে চোট লেগেছে। পুলিশ বাহিনীর অন্তত ৫০ জন আহত। ছাড় পাননি সাংবাদিকরাও। হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, এটা ‘হিন্দুয়োঁ কি লড়াই’। অতএব ছবি-ভিডিও তোলা যাবে না। তিন সাংবাদিক মারের চোটে হাসপাতালে ভর্তি। আরও পড়ুন-Bihar Assembly: রাজ্যে এনআরসি হবে না, রেসোলিউশন পাস করল বিহার বিধানসভা
MHA Sources: Home Minister Amit Shah held a long meeting that lasted for almost 3 hours with Delhi Police & Home Ministry officials. Newly appointed Special Commissioner of Police SN Srivastava also attended the meeting. It was the 3rd meeting chaired by HM in less than 24 hours. pic.twitter.com/rWwsDAkXP4
— ANI (@ANI) February 25, 2020
সিএএ-বিরোধীদের সম্পর্কে রবিবারই উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। প্রশ্ন উঠেছে, তিন দিন কাটতে চললেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না কেন? পূর্ব দিল্লির বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীরই কপিলের বিরুদ্ধে পুলিশি পদক্ষেপের দাবি তুলেছেন। দিল্লি পুলিশের মুখপাত্র মনদীপ রণধাওয়া এ দিন বলেন, ‘‘ওই বিবৃতি নিয়ে তদন্ত চলছে। কিন্তু আমাদের অগ্রাধিকার হল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা।’’ কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ, কপিল পুলিশের সামনেই প্ররোচনামূলক কথা বলেছিলেন। এখনও পুলিশকে ঢাল করেই সিএএ-বিরোধীদের উপরে হামলা হচ্ছে।