ফাইল ফটো (Photo Credit: Wikimedia Commons)

কলকাতা, ১৩ জুন: রাজ্যের সাতটি স্পর্শকাতর জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে বিরোধী দলগুলির দাবি মেনে মনোনয়নের সময়সীমা নিয়ে কোনোরকম হস্তক্ষেপ করল না আদালত। পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে জনস্বার্থ মামলার রায়ে এমন কথাই বলল কলকাতা হাইকোর্ট। বিরোধীদের দাবি ছিল সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে ভোট করা যাবে না, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ করতে হবে। আর মনোনয়নের সময়সীমা বাড়াতে হবে।

স্পর্শকাতর বলে রাজ্যের যে সাত জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন করাতে বলল হাইকোর্ট সেগুলি হল- ১) উত্তর ২৪ পরগণা, ২) দক্ষিণ  ২৪ পরগণা, ৩) বীরভূম, ৪) মুর্শিদাবাদ, ৫) পূর্ব মেদিনীপুর, ৬) হুগলি, ৭) জলপাইগুড়ি।

রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওপরেই মনোনয়নের সময়সীমা বৃদ্ধির বিষয়টি ছাড়ল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। নির্বাচন কমিশনের ভয়মুক্ত পরিবেশে ভোট আয়োজন করা উচিত বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট। স্পর্শকাতর এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা উচিত কমিশনের, এমনটাই জানিয়েছে আদালত। আরও পড়ুন-West Bengal Statehood Day 2023 : পশ্চিমবঙ্গের গৌরব, ঐতিহ্যময় রাজ্যের মর্যাদার ৭৩ বছর

দেখুন টুইট

পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর খরচ কেন্দ্রীয় সরকারকে দিতে হবে বলে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানাল। কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত রাজ্য যা কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইবে তা দেওয়ার। বাহিনীর খরচ রাজ্য সরকার দেবে না বলে সাফ জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য রাজ্য সরকার চুক্তিভিত্তিক কর্মী ও এনসিসি-র ছেলেদের চতুর্থ পোলিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ করতে রাজ্য।

গত বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা ঘোষণা করেছিলেন, আগামী ৮ জুলাই বাংলায় এক দফায় পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। ফলপ্রকাশ ১১ জুলাই।

আগামী ৯ জুন থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু হয়েছে। আগামী ১৫ জুন, বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষদিন । এরপর শনিবার, ১৭ জুন হবে মনোনয়ন পত্র স্ক্রুটিনি বা পরীক্ষার কাজ। আগামী ২০ জুন মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। বিরোধীদের দাবি মনোনয়ন জমা দেওয়ার একেবারেই সময় দেওয়া হয়নি। তাই মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা বৃদ্ধির দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি ও কংগ্রেস।