বেঙ্গালুরু, ১৪ আগস্ট: অনলাইন ওষুধ ডেলিভারির বাজারে এবার নতুন প্রতিযোগী। তবে অনলাইন ক্রেতাদের কাছে নামটা একেবারেই নতুন নয়। অনলাইন ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজন, এবার ওষুধও বিক্রি করবে। করোনাকালে ভারতের আর্থ সামাজিক পরিস্থিতিতে সবথেকে প্রয়োজনীয় উপাদান এখন ওষুধ। সংক্রমণ এড়াতে বেশিরভাগ সময় চলছে লকডাউন। সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলতে বেশিরভাগই এখন খুব প্রয়োজন না পড়লে বাড়ির বাইরে বেরোচ্ছেন না। তাই শখে নয়, এখন প্রয়োজনেই অনলাইনে কেনাকাটার ধুম পড়েছে। এই মুহূর্তে ফার্মইজি, ওয়ানএমজি, মেডলাইফ ও নেটমেডস-এর মতো সংস্থা অনলাইনে ওষুধ ডেলিভারিতে সবথেকে বেশি নজর কেড়েছে। এবার এদেরই প্রতিযোগী হিসেবে ভারতের বাজারে লঞ্চ করল অ্যামাজন ফার্ম্যাসি (Amazon Pharmacy)।
তবে আপাতত বেঙ্গালুরুতেই অ্যামাজন ফার্ম্যাসির পরিষেবা মিলবে। এক বিবৃতিতে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে যে, ভবিষ্যতে ভারতবর্ষের অন্যান্য শহরেও পরিষেবা দেবে অ্যামাজন ফার্ম্যাসি। কাস্টমারদের চাহিদা পূরণের উদ্দেশ্যেই ওষুধ ডেলিভারি করব, এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল অ্যামাজন। তাই বেঙ্গালুরুতেই অ্যামাজন ফার্ম্যাসির সুবিধা মিলবে। কাস্টমাররা প্রেসক্রিপশন থেকে ওষুধের অর্ডার দিতে পারেন। প্রয়োজনীয় কিছু ওষুধ যেগুলি প্রেসক্রিপশন ছাড়াই সকলের বাড়িতে থাকে, তা-ও মিলবে অ্যামাজন ফার্ম্যাসিতে। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি, সরকারি ছাড়পত্র আছে এমন আয়ুর্বেদ সংস্থার ওষুধও ডেলিভারি করবে অ্যামাজন ফার্ম্যাসি। এ প্রসঙ্গে সংস্থার মুখপাত্র জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাড়িতে বসে ওষুধ পাওয়াটা প্রাসঙ্গিক। কেননা এখন সংক্রমণ এড়াতে ঘরে থাকাটাই শ্রেয়। তাই প্রয়োজনীয়তা যদি বাড়িতে বসেই মিটে যায় তাহলে তো আর কোনওরকম সমস্যাই থাকবে না। আরও পড়ুন-Coronavirus Cases In West Bengal: একদিনে সংক্রামিত ২, ৯৯৭ জন, রাজ্যে করোনাজয়ীর সংখ্যা ৮০ হাজার ছুঁই ছুঁই
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তেই দেশজুড়ে লকডাউন চালু হয়েছে। এই সময় থেকেই অনলাইনে ওষুধ কেনার চাহিদাও বেড়েছে হু হু করে। এই চিত্রটা তখনই স্পষ্ট হল যখন চেন্নাইয়ের অনলাইন মেডিসিন সংস্থা নেটমেডকে অধিগ্রহণ করার জন্য যখন রিলায়েন্স ১২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করল। একই ভাবে এই সময়ে বিভিন্ন অনলাইন ওষুধ সংস্থা বড় মাপের ফান্ডিংয়ের সুবিধা পেয়েছে। চলতি ২০২০-২১ আর্থিক বর্ষে ভারতের হেলথ কেয়ার মার্কেট ৪.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যবসা করবে।