ভারতে করোনাভাইরাস (Photo Credits: PTI)

কলকাতা, ১৪ আগস্ট: রাজ্যে টেস্টের সংখ্যা বাড়ায় সংক্রমণও বাড়ছে হু হু করে। তবে সুস্থতার হারও চোখে পড়ার মতোই বেড়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধে পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে সংক্রমণের হার চিন্তায় ফেলেছে রাজ্য প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২,৯৯৭ জন (Coronavirus Cases In West Bengal)। মৃত ৫৬। এদিন কলকাতায় মৃতের সংখ্যা ১ হাজার টপকালো। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ জনের মৃত্যুতে মহানগরে মোট করোনা নিয়ে মৃত্যু হল ১,০১৫ জনের। এরফলে রাজ্যে মোট করোনার আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭ হাজার ৩২৩ জন। বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫৬ জন। এরফলে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দিয়েছে ২,২৫৯ জন।

অন্যদিকে, এই মুহূর্তে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ২৬ হাজার ৪৪৭ জন। তবে সামান্য স্বস্তির বিষয় এটাই যে রাজ্যে ডিসচার্জ রেট ৭০ শতাংশের উপরে। ডিসচার্জ রেট ৭৩.২৫ শতাংশ। সংক্রমণের নিরিখে কলকাতার সঙ্গে সমানে পাল্লা দিচ্ছে উত্তর ২৪ পরগনা। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় নতুন আক্রান্ত ৬৬৬ জন। আর উত্তর ২৪ পরগনায় ৫৮২ জন। এই জেলায় একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। তবে এদিন কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় নতুন আক্রান্তের থেকে সুস্থ হয়েছেন বেশি রোগী। সংখ্যাটা যথাক্রমে ৬৮৭ ও ৬৮৩। হাওড়া জেলায় নতুন আক্রান্ত ২২৯ জন আর মৃত ১২ জন। এদিনের বুলেটিন বলছে, রাজ্যের সব জেলাতেই গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। বেশ কিছুদিন কেউ করোনা আক্রান্ত না হওয়া ঝাড়গ্রাম জেলাতেও এদিন ৪ জন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। একদিনে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আক্রান্ত ২১৫ জন আর হুগলিতে ১২০ জন। আরও পড়ুন-Mahant Nritya Gopal Das: করোনাভাইরাস পজিটিভ রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের প্রধান নিত্য গোপাল দাস, ভূমি পুজোয় প্রধানমন্ত্রীর পাশেই ছিলেন মহান্ত

করোনাকে হারিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭৮,৬১৭ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ২,৪৯৭ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ক‌রোনা নিয়ে মৃতের সংখ্যা ২,২৫৯ জন। এখন অ্যাক্টিভ রোগী ২৬,৪৪৭ জন। সুস্থতার হার ৭৩.২৫ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৩০,০৩২টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। বৃহস্পতিবার একইদিনে ৩০ হাজার টেস্টের রেকর্ড হল বাংলায়। যদিও সারা দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই বাংলাতেই ব্যাপক হারে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। প্রতিদিন টেস্টের সংখ্যা বাড়ছে বলেই আক্রান্তের সংখ্যাও ব্যাপক হারে বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে, শুধু যে আতঙ্ক আর হতাশ হওয়ারই ছবি চারিদিকে, তা কিন্তু নয়। বরং আশা জাগাতে পারে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা।