দুবাই, ১১ সেপ্টেম্বর: টুর্নামেন্টের প্রথম খেলায় জঘন্যভাবে হারের পর, ফাইনাল সহ টানা পাঁচটা ম্যাচে জিতে এশিয়া কাপ জিতল শ্রীলঙ্কা। ফাইনালে পাকিস্তানকে ২৩ রানে উড়িয়ে আট বছর পর এশিয়ার ক্রিকেটের সিংহাসনে বসল শ্রীলঙ্কা। সাঙ্গাকারা, জয়বর্ধনে, মালিঙ্গা পরবর্তী শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের কাছে মাইলস্টোন হয়ে থাকল এই এশিয়া কাপ। অর্জুনা রণতুঙ্গার নেতৃত্বে ১৯৯৬ বিশ্বকাপের মতই, এবার এশিয়া কাপে রূপকথার জয় হয়ে থাকল দাশুন শনকার শ্রীলঙ্কার। ফাইনালে শ্রীলঙ্কার নায়ক ভানুকা রাজাপাক্ষে (৪৫ বলে ৭১ রান অপরাজিত), হাসারাঙ্গা (৩৬ অপরাজিত, ৩/২৭), ও প্রমোদ মাসুদান (৪/৩৪)।
ক মাস আগে যে দেশটা দেউলিয়া হয়ে গিয়ে সে দেশের মানুষ প্রেসিডেন্টের বাসভবন দখল করে নিয়েছিল। সেই শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বাইশ গজের বিশ্বকে মুগ্ধ করল। ফাইনালে পাকিস্তানকে উড়িয়ে ষষ্ঠবার এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হল। শ্রীলঙ্কা এই এশিয়া কাপ জয়টাকে বিশ্ব খেলাধুলোর ইতিহাসে অন্যতম বড় রূপকথার কাহিনি হিসেবে তুলে ধরা যাবে। আরও পড়ুন-ফিঞ্চের শেষ ম্যাচে স্মিথের সেঞ্চুরি, অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ জয় ৩-০
দেখুন টুইট
Congratulations Pakistan for winning the #AsiaCup2022Final toss and Sri Lanka for winning the cup for the 6th time!#PAKVSSL pic.twitter.com/aBBC05cgkx
— Devesh Thakurela (@ThakurelaDevesh) September 11, 2022
আফগানিস্তানের কাছে প্রথম ম্যাচে মাত্র ১০৫ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। সেখান থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতে কোনওরকমে সুপার ফোরে উঠেছিল ভারতের প্রতিবেশী এই দ্বীপরাষ্ট্র। এরপর সুপার ফোর থেকে ফাইনাল পর্যন্ত পুরোটা অবিশ্বাস্য ক্রিকেট খেলে চ্যাম্পিয়ন হল শ্রীলঙ্কা।
অন্যদিকে, সুপার ফোরে ভারতকে হারিয়েও, ফাইনালে রোহিত শর্মা-রা না থাকলেও খেতাব জেতা হল না বাবর আজমদের। ফাইনালে একেবারেই খারাপ খেললেন বাবর-রা। টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপে দুবার শ্রীলঙ্কার কাছে হার, একবার ভারতের কাছে হার, আর আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে হারতে হারতে কোনওরকমে হার। বাবর-রা ফাইনালে উঠলেও তাদের পারফরম্যান্সে মোটেও খুশি হতে পারবেন না। ফাইনালে জয়ের জন্য ১৭০ রান তাড়া করতে নেমে ১৪৭ রানে অল আউট হয়ে যায় পাকিস্তান। বাবর আজম (৫), ফকহর জামানা (০) থেকে মহম্মদ নওয়াজ (৬) , খুশদিল শাহ (২) -রা ব্যর্থ হন। একা লড়াই করেন মহম্মদ রিজওয়ান (৫৫ রান)।
এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কা চ্যাম্পিয়ন (৬ বার): ১৯৮৬, ১৯৯৭, ২০০৪, ২০০৮, ২০১৪, ২০২২