প্রতিদিনের ব্যস্ততায় ভরা জীবনে, কাজের চাপ এবং ক্রমবর্ধমান মানসিক চাপের কারণে নিজের জন্য সময় বের করা খুবই কঠিন হয়ে যায় মানুষের। এমন পরিস্থিতিতে সময়ের অভাবে স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়া সম্ভব হয় না। স্বাস্থ্যের প্রতি এই অসাবধানতার কারণে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে সকলকেই। এমতাবস্থায়, স্বাস্থ্যের প্রতি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য প্রতি বছর ১৯ জুন পালন করা হয় বিশ্ব সান্টারিং দিবস। এই দিনটি পালন করার উদ্দেশ্য হল একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারার দিকে মানুষকে উৎসাহিত করা।
বিশ্ব সান্টারিং দিবস অন্যান্য আন্তর্জাতিক দিবসের মতো গুরুত্বপূর্ণ না হলেও ফিটনেস এবং সুস্থতার ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সান্টারিং শব্দটির মাধ্যমে বর্ণনা করা হয় হাঁটার একটি শৈলী, যার অর্থ ধীরে ধীরে হাঁটা। মনে করা হয়, ১৯৭০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের ম্যাকিনাক দ্বীপের গ্র্যান্ড হোটেল থেকে পালন করা শুরু হয় বিশ্ব সান্টারিং দিবস। তবে অনেক জায়গায় এই দিনটি পালন করা হয় ২৮ আগস্ট। মানুষকে তাদের স্বাস্থ্য এবং ফিটনেস সম্পর্কে চিন্তা করার সুযোগ দেয় এই দিন। মানুষকে প্রতিদিনের ব্যস্ততা থেকে বিরতি নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করে এই দিন।
আমরা প্রায়ই সুস্থ জীবনযাপনের জন্য স্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলি গ্রহণ করার পরিকল্পনা করি, ব্যায়াম করি বা প্রতিদিন হাঁটতে যাই। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে এই অভ্যাসগুলির জন্য সময় দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে মানুষের দক্ষতা ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে সান্টারিং। দেখা গেছে, মানুষ যখন কোনও সীমাবদ্ধতায় থাকে না, সে তখন নিজেকে সময় দিয়ে পরিপূর্ণতার সঙ্গে কাজ করে। এছাড়া হাঁটার অনেক উপকারিতা রয়েছে। হাঁটার ফলে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়।