দেবী ভবানীর আরাধনার উৎসব হল চৈত্র নবরাত্রি। ২০২৫ সালের ৩০ মার্চ থেকে শুরু হতে চলেছে চৈত্র নবরাত্রি এবং এই ৯ দিন মাতৃদেবী পুজোর জন্য অত্যন্ত পবিত্র। মা দুর্গাকে তিন জগতের মা হিসেবে পুজো করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে, দেবী দুর্গার উপাসনাকারীর উপর কখনও কোন দুর্ভাগ্য আসে না। চৈত্র নবরাত্রির নয় দিন দেবীর নয়টি রূপের পুজো করা হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক দেবীর নয়টি রূপের বিশেষত্ব।

  •  মা শৈলপুত্রী (প্রতিপদ তিথি) - দেবী পুরাণ অনুসারে, মা শৈলপুত্রীর উপাসনা জীবনে স্থিতিশীলতা আনে। এই রূপের পুজো করলে বৈবাহিক জীবনে সুখের আগমন হয়।
  • মাতা ব্রহ্মচারিণী (দ্বিতীয় তিথি) - ব্রহ্মচারিণী হলেন এই জগতের সমস্ত স্থাবর ও অস্থাবর জ্ঞানের জ্ঞাতা। বলা হয় যে ব্রহ্মচারিণীর পুজো করলে ব্যক্তিত্ব বৃদ্ধি পায় এবং বুদ্ধিমত্তা তীক্ষ্ণ হয়।
  •  মা চন্দ্রঘণ্টা (তৃতীয় তিথি) - মা চন্দ্রঘণ্টাকে নেতিবাচক শক্তি এবং অশুভ দৃষ্টি থেকে রক্ষাকারী দেবী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আত্মকল্যাণ এবং শান্তির খোঁজ করলে নবরাত্রির তৃতীয় দিনে মা চন্দ্রঘণ্টার পুজো করা উচিত।
  •  মা কুষ্মাণ্ডা (চতুর্থী তিথি) - বিশ্বাস করা হয় যে চৈত্র নবরাত্রির চতুর্থ দিনে মা কুষ্মাণ্ডার পুজো করলে খ্যাতি, শক্তি এবং সম্পদ লাভ হয়।
  •  মা স্কন্দমাতা (পঞ্চমী তিথি) - স্কন্দমাতার সঙ্গে পুত্র কার্তিকেয়কেও পুজো করা হয়। সন্তান লাভের জন্য মা স্কন্দমাতার পুজো করাকে নবরাত্রির সবচেয়ে ফলপ্রসূ বলে মনে করা হয়।
  •  মা কাত্যায়নী (ষষ্ঠী তিথি) - বিবাহে বাধার সম্মুখীন হলে অবশ্যই মা কাত্যায়নীর পুজো করা উচিত। রোগ, শোক এবং কষ্ট থেকে মুক্তির জন্য দেবী কাত্যায়নীকে সন্তুষ্ট করা উচিত।
  • মা কালরাত্রি (মহাসপ্তমী তিথি)- মা কালরাত্রির উপাসনা করলে মন থেকে সকল ধরণের ভয় দূর হয় এবং জীবনের প্রতিটি সমস্যা এক মুহূর্তের মধ্যে সমাধান করার শক্তি লাভ হয়।
  • মা মহাগৌরী (মহাঅষ্টমী তিথি) - পাপ কর্মের অন্ধকার আবরণ থেকে মুক্তি পেতে এবং আত্মাকে পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন করার জন্য পুজো করা হয় মহাগৌরীর।
  •  মা সিদ্ধিদাত্রী (মহানবমী তিথি) - দেবীর এই রূপ থেকে ভগবান শিব অনেক সিদ্ধি অর্জন করেছিলেন। শিবের অর্ধনারীশ্বর রূপের অর্ধদেবী হলেন সিদ্ধিদাত্রী মাতা। এই দেবীর পুজো করলে প্রতিটি কাজে সাফল্য লাভ হয়।