National Flag (Photo Credits: Wikimedia Commons)

ব্রিটিশ শাসন মুক্ত স্বাধীন ভারতের স্বাধীনতা দিবস (Independence Day) হিসাবে ১৫ অগাস্ট দিনটিকে দেশজুড়ে সড়াম্বরে পালন করা হয়। সরকারি দফতর, স্কুল, কলেজ, পাড়ার ক্লাবে উত্তোলিত হয় জাতীয় পতাকা (National Flag)। তবে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের রক্তক্ষয়ী দীর্ঘ ইতিহাসে জাতীয় পতাকার নিজস্ব ইতিহাসও রয়েছে। ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবস পালনের আগে ২২ জুলাই পালন করা হয় জাতীয় পতাকা দিবস (National Flag Day 2024)। কারণ দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে, ১৯৪৭ সালের ২২ জুলাই দেশে সরকারী পতাকা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল গণপরিষদ। সেই বছর ২২ জুলাই দেশের জন্যে জাতীয় পতাকা গৃহীত হয় গণপরিষদে। এই দিনটিকে স্মরণে রেখেই ২২ জুলাই জাতীয় পতাকা দিবস (National Flag Day 2024) পালিত হয়ে আসছে।

তিরঙ্গায় তিন রঙের অর্থঃ

ভারতের জাতীয় পতাকা একতা, অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বকে চিহ্নিত করে। একে 'তিরঙ্গা' বলা হয়। একদম প্রথমে গৈরিক বা জাফরান, মাঝে সাদা এবং নীচে সবুজ - অনুভূমিক ভাবে সজ্জিত তিনটি রঙ ভিন্ন অর্থ বোঝায়। জাফরান রঙ সাহস এবং ত্যাগের প্রতিনিধিত্ব করে। সাদা শান্তি ও সত্যের প্রতীক। এবং সব শেষে সবুজ রঙ প্রকৃতি এবং শুদ্ধতার প্রতীক। জাতীয় পতাকার মাঝে রয়েছে নীল রঙের অশোক চক্র। সম্রাট অশোকের বিজয়ের প্রতীক মনে করা হয় এই অশোক চক্রকে। যাকে ধর্ম চক্রও বলা হয়। ২.৩ অনুপাতে তৈরি তিরঙ্গার মাঝে অশোক চক্রে রয়েছে ২৪টি দণ্ড। যা ক্রমাগত অগ্রগতির প্রতিনিধিত্ব করে।

জাতীয় পতাকার ইতিহাসঃ

আজকের তিরঙ্গার নকশা যেমন দেখছেন স্বাধীনতা লগ্নে কিন্তু তা এমনটা ছিল না। একদম শুরুতে পতাকায় ছিল লাল এবং সবুজ রং। মাঝে ছিল চরকা। লাল রং হিন্দু এবং সবুজ রং মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করে। ভারতের জাতীয় পতাকার নকশা প্রথম তৈরি করেছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া। ১৯১৬ সাল থেকে ১৯২১ সাল পর্যন্ত তিনি ৩০টি দেশের পতাকা নিয়ে গবেষণা করেন। ১৯২১ সালে কংগ্রেস সম্মেলনে তাঁর নকশা করা জাতীয় পতাকা পেশ করা হয়েছিল। নয় নয় করে মোট ১৭ বার বদলায় জাতীয় পকাতার নকশা। ১৯৩১ সালের ৬ আগস্ট জাতীয় পতাকার রংয়ে ফের বদল ঘটে। উপরে যোগ হয় গৈরিক বা জাফরান রং। মাঝে সাদা এবং নীচে সবুজ। ১৯৪৭ সালের ২২ আগস্ট চরকার পরিবর্তে অশোক চক্র যোগ করা হয়। জওহরলাল নেহেরুর পছন্দ হয়েছিল এই তিরঙ্গা। তারপরেই ভারতের জাতীয় পতাকা হিসাবে মান্যতা পায় এটি।