Credits: Pixabay

নিদ্রায় থাকাকালীন শরীরের মধ্যে চলে শরীরকে সুস্থ রাখার প্রয়োজনীয় কাজ। এছাড়া শরীর পুনরুদ্ধার, পুনর্নির্মাণ ও পুনরুৎপাদনের পাশাপাশি পরিষ্কার করার মতোও কাজ হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্যান্সার প্রতিরোধ, উপস্থিত ক্যান্সার পরিচালনা, ক্যান্সারের জন্য বিভিন্ন থেরাপি বা চিকিৎসার যেকোনও কাজ করা এবং শরীরে ঠিক ভাবে কাজ করানোর জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ হল গভীর ঘুম। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুমের সময় ঘটে যাওয়া প্রক্রিয়াগুলি সম্পর্কে বুঝতে পারলে বোঝা যায় যেকোনও ওষুধ, খাদ্য সহ অন্যান্য জিনিসের থেকে শরীর ও মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে রাতের গভীর ঘুম।

ক্যান্সার বিরোধী হরমোন হল মেলাটোনিন। এই মেলাটোনিন হরমোন ঘুমের মান বৃদ্ধি করার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং ক্যান্সারের সঙ্গেও যুক্ত। বিশেষজ্ঞদের মতে এই হরমোন একটি অ্যান্টি-ক্যান্সার হরমোন, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি হিসেবে কাজ করে এবং শরীরে এই হরমোনের অভাব ক্যান্সার রোগীদের জন্য খুবই ক্ষতিকর। ঘুমানোর সময় মেলাটোনিন হরমোন শরীরের মধ্যে অবাধে ঘুরে বেড়ায়, এর ফলে অনাক্রম্যতা বৃদ্ধি পায় এবং অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়া কোষগুলির বিরুদ্ধে কাজ করে। এই কারণেই গভীর ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মেলাটোনিন হরমোনকে উত্তেজিত করে অন্ধকার। তাই যতটা সম্ভব অন্ধকার স্থানে ঘুমানোর চেষ্টা করা উচিত।

ক্যান্সার সহ প্রায় প্রতিটি রোগের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে দুর্বল ডিএনএ এবং জিন। জীবনধারা এবং পরিবেশের মাধ্যমে জিন ভালো বা খারাপ করা সম্ভব। এপিজেনেটিক্স নামক অধ্যায়টির মাধ্যমে জানা যায় জিনের উপর পরিবেশের প্রভাব সম্পর্কে। এর মাধ্যমে জানা যায় সাধারণ খাবার, অতি প্রক্রিয়াজাত ও প্রক্রিয়াজাত খাবার, ঘুম, মানসিক চাপের মাত্রা, ব্যায়াম, আবহাওয়া, বিষাক্ত এক্সপোজার, সূর্যালোক, বিকিরণ, দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ, অতিবেগুনী রশ্মির মতো বিভিন্ন কারণ সম্বন্ধে। বিশেষ করে ঘুমের অভাবের কারণে জিনের অভিব্যক্তির পরিবর্তন হতে পারে এবং ক্যান্সার যুক্ত জিনের পরিমাণ বাড়তে পারে এবং অ্যান্টিক্যান্সার জিনগুলিকে বন্ধ করে দিতে পারে।