নয়াদিল্লি, ২৪ জুলাই: করোনাভাইরাসে লকডাউনের জেরে বন্ধ ছিল রেস্তারাঁ। এই সীমিত সময়ে ভালমন্দ খেতে সকলেই হয়ে উঠেছিলেন রন্ধনে পটু। আনলক ওয়ানে ধাপে ধাপে খুলতে থাকে রেস্তোরাঁ। সংক্রমণের দাপটের মধ্যেও কোথায় কতটা বিক্রি হল খাবার? সেই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট পেশ করে সুইগি। সেই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, লকডাউন পিরিয়ডে সাড়ে ৫ লক্ষ চিকেন বিরিয়ানির অর্ডার এসেছে দেশজুড়ে। আরও পড়ুন: Chinese Apps: আরও কিছু চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করল ভারত, বাতিল হ্যালো লাইট, শেয়ার ইট লাইট, বিগ লাইট
শুধু চিকেন বিরিয়ানিই নয়। লকডাউন পিরিয়ডে শাক-সবজি, ফলমূল বিক্রিও শুরু করেছিল সুইগি। রিপোর্টে সেসবেরও উল্লেখ রয়েছে। ৩২৩ মিলিয়ন কেজি পেঁয়াজ এবং ৫৬ কেজি কলা বিক্রি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রতিদিন দেশজুড়ে রাত ৮টার মধ্যে কমবেশি ৬৫ হাজার ডিনারের অর্ডার এসেছে। মিষ্টিপ্রিয় কিংবা কেক-প্যাস্ট্রি-প্রিয়দের দৌলতে ১ লাখ ২৯ হাজার চকোলাভা কেকের অর্ডার এসেছে এই লকডাউনের সময়ে। এছাড়াও গুলাপ জামুন এবং বাটারস্কচ মুজ কেকেরও অর্ডার এসেছে বলে রিপোর্টে জানা যাচ্ছে। এছাড়া প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার জন্মদিনের কেকের অর্ডার এসেছে লকডাউনের সময়ে।
এখানেই তালিকা শেষ নয়। আরও আছে। দেশজুড়ে ৭৩ হাজার বোতল স্যানিটাইজার বিক্রি হয়েছে এবং ৪৭ হাজার ফেসমাস্ক। সংস্থার তরফে একটি বিবৃতি পেশ করে জানানো হয়েছে, "ডালগোনা কফি কিংবা কলার ব্রেড বেকিং এগুলো সমস্ত যখন একদিকে ট্রেন্ডিং ছিল লকডাউন পিরিয়ডে। ঠিক তখনই অন্যদিকে চিকেন বিরিয়ানিতেই অনেকে খুঁজে পেয়েছিলেন স্বাচ্ছন্দ্য। যার ফল রিপোর্ট থেকেই জানা যাচ্ছে। সাড়ে ৫ লাখের কাছাকাছি অর্ডার এসেছে বিরিয়ানির।"