বেঙ্গালুরু, ২৪ জুন: নিজের বাড়িতেই আত্মঘাতী হলেন আইএমএ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত কর্নাটকের প্রাক্তন আইএএস কর্তা বিএম বিজয় শংকর (Vijay Shankar)। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বেঙ্গালুরু বাড়ি থেকেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। তিনিই ছিলেন আইএমএ পঞ্জি কেলেঙ্কারির অন্যতম অভিযুক্ত। ২০১৯-এ এই কেলেঙ্কারিতে ফেঁসে গ্রেপ্তারও হন বিএম বিজয় শংকর। তদন্তে দেখা যায় ১.৫ কোটি টাকা ঘুষও নিয়েছিলেন তিনি। এতদিন পরে কেন আত্মহত্যা করতে গেলেন, তার কারণ পুলিশের কাছে স্পষ্ট নয়। তবে তদন্ত শুরু হয়েছে। টাকা নিয়ে লোক ঠকানোর ব্যবসা এদেশে নতুন নয়৷ একের পর এক চিটফান্ড কেলেঙ্কারিগুলিই তার প্রমাণ৷ ২০১৮ থেকেই রিজার্ভ ব্যাংকের নজর ছিল আইএমএ'র উপর৷
গত বছর জুনে হঠাৎই বিদেশে যান IMA কর্তা মনসুর খান৷ তাতে চাপে পড়েন গোয়েন্দারা৷ বিপদের আঁচ পেয়েই মনসুর পালিয়ে যাচ্ছেন বলে ধরে নেওয়া হয়। তিনি দেশে ফেরার পর দেরি না-করে মনসুরকে গ্রেপ্তার করে ইডি৷ চার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি কোনও ছোট অঙ্ক নয়৷ মনসুর বিদেশে যেতেই তাঁকে ফিরিয়ে আনার জন্য ইন্টারপোলের ওপর চাপ দিতে শুরু করেন ইডি কর্তারা৷ দুবাই থেকে দেশে ফেরা মাত্র দিল্লি বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এই কেলেঙ্কারির জেরে এইচ ডি কুমারস্বামী মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে হয় কংগ্রেস বিধায়ক অঞ্জলি নিম্বালকরকে। কর্নাটকের কয়েক'শো কোটি টাকার আইএমএ চিটফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন এই অঞ্জলিরই স্বামী আইপিএস অফিসার হেমন্ত নিম্বালকর, যিনি মামলায় প্রধান অভিযুক্ত মহম্মদ মনসুর খানকে বেকসুর রেহাই দিয়েছিলেন। এর পর মনসুর খান কংগ্রেস বিধায়ক রোশন বেগের বিরুদ্ধে ৪০০ কোটি টাকা আত্মস্যাৎ করার অভিযোগ আনলে রোশন বেগকে সাসপেন্ড করে কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেস। আরও পড়ুন-UPPCS Mains Results 2018 Declared: উত্তর প্রদেশে পিএসসি ২০১৮-র মেন পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ২,৬৬৯ জন প্রার্থী
এদিকে এই পঞ্জি কেলেঙ্কারিতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বিজয় শংকর। পরে জামিনে ছাড়াও পান তিনি। গ্রেপ্তারির কারণে কর্নাটক সরকার তাঁকে চাকরি থেকে সাসপেন্ড করে। ছিলেন আরবান বেঙ্গালুরু জেলার ডেপুটি কমিশনার। মামলাটি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল, সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার পরেও বিজয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে। সিবিআইও এই আইএএস কর্তার বিরুদ্ধে মামলা শুরু করার জন্য রাজ্য সরকারের অনুমতি নিয়েছিল।