দিল্লি, ৩০ আগস্ট: দেশের অর্থনৈতিক মন্দা নিয়ে শাসক বিরোধী তরজা তুঙ্গে। নরেন্দ্র মোদি সরকারের (PM Modi Govt) প্রথম ধাপের দুর্নীতির চেহারা দেখলে চোখ কপালে উঠবে বৈকি। গাড়ি থেকে বিস্কুট সাবান থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য, সব শিল্পেই আকাল। এসবিআইয়ের (SBI) সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে গ্রামীণ ভারতে ভোগ্যপন্যের চাহিদা দিনের পর দিন কমছে, আর তাই নাকি আর্থিক মন্দার অন্যতম কারণ। তবে রিজার্ভ ব্যাংক (RBI)বলল অন্য কথা। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতা রমণ যখন মিনি বাজেট তৈরি করে মন্দার গতি শ্লথ করতে চাইছেন তখন আরবিআইয়ের বার্ষিক রিপোর্ট বিজেপির সরকারের হাঁড়ি একেবারে হাটে ভেঙে দিল। রিপোর্ট বলছে, মোদি সরকারের প্রথম মেয়াদের শেষ আর্থিক বছরে অর্থাৎ ২০১৮-১৯-এ ব্যাংক জালিয়াতির (Bank Fraud) হার বেড়েছে ৭৪ শতাংশ।
তাই হিসাব অনুযায়ী বলা যায়, ৭১,৫৪৩ কোটি টাকার জালিয়াতি হয়েছে। যখন আর্থিক ব্যবস্থাপনার প্রশ্নে যখন ঘরোয়া রাজনীতিতে সমালোচনার মুখে নরেন্দ্র মোদি সরকার, তখন বৃহস্পতিবার রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার বার্ষিক রিপোর্ট আরও চাপ তৈরি করে দিল।সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাংক কেন্দ্রকে ১ লক্ষ ৭৬ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। রিজার্ভ ব্যাংক গঠিত বিমল জালান কমিটির সুপারিশ মতেই ওই টাকা সরকারকে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৫২ হাজার কোটি টাকা রিজার্ভ ব্যাংকের আপৎকালীন তহবিল থেকে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বার্ষিক রিপোর্টের যা গতিবিধি তাতে দেখা যাচ্ছে প্রথম মোদি সরকারের আমলে জালিয়াতির বিশেরভাগটাই হয়েছে ব্যাংক থেকে। তবে তারপরেও নিজের সম্পত্তির পরিমাণকে বাড়িয়ে গিয়েছে রিজা্র্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া। আরও পড়ুন-Fit India Movement: জাতীয় ক্রীড়া দিবসে 'ফিট ইন্ডিয়া মুভমেন্ট'-র সূচনা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-র, দিল্লিতে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে দেশকে ফিট করার ব্রত
#BREAKING | RBI releases annual report for 2018-19; says India not immune to negative cues from global factors pic.twitter.com/0xGLyd4aSE
— CNBC-TV18 (@CNBCTV18Live) August 29, 2019
RBI's #AnnualReport 2018-19 | Cyclical downturn seen in manufacturing, trade, hotels, communication, broadcasting
construction & agriculture pic.twitter.com/1T32FwNhUg
— CNBC-TV18 (@CNBCTV18Live) August 29, 2019
এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় ব্যাংকটির কাছে ৬১৮.১৬ মেট্রিক টন রয়েছে। গত আর্থিক বছরে যা ৫৬৬.২৩ মেট্রিক টন ছিল। ব্যাংকের রাজস্বও বেড়েছে, অনেকটাই,– ১৪৬.৫৯ শতাংশ। শুধু মাত্র সুদ বাবদ আয় বেড়েছে ৪৪.৬২ শতাংশ। ৮৬,১৯৯ কোটি টাকা থেকে বেড়ে তা হয়েছে ১ লক্ষ ৬ হাজার কোটি টাকা। তবে রিজার্ভ ব্যাংকের অবস্থা ভাল থাকলেও বেশ বিপারে দেশের অন্যান্য ব্যাংকগুলি। জালিয়াতির গেরোয় তাদের নাভিশ্বাস উঠেছে। ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরের জালিয়াতি আগের আর্থিক বছরকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। ৭১,৫৪৩ কোটি টাকার জালিয়াতি, হিসেব করতেল দাঁড়ায় আগের আর্থিক বছরের তুলনায় প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা বেশি জালিয়াতি হয়েছে। প্রথম মোদি সরকারের ‘না খাউঙ্গা না খানে দুঙ্গা নীতি’ যে ব্যর্থ হয়েছে, এই হিসেবেই তার প্রমাণ দেয়।