গ্রেপ্তার বাজি বিক্রেতার পরিবারের সঙ্গেই দীপাবলি পালন পুলিশের (Photo: ANI)

বুলান্দশহর, ১৪ নভেম্বর: নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বাজি (Firecracker) বিক্রি করার কারণে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল এক ব্যক্তিকে। তাঁর স্টল ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। সেই বাজি বিক্রেতা ও তাঁর পরিবারের সঙ্গেই দীপাবলি(Diwali) পালন করল পুলিশ। উত্তরপ্রদেশের বুলান্দশহরের (Bulandshahr) খুরজার ঘটনা। গতকাল ওই বাজি বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এছাড়াও বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে পুলিশের বকুনি ও ধাক্কা খায় বিক্রেতার মেয়ে। সেই ঘটনার ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। তারপরই পুলিশের তরফে এই মানবিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই ঘটনার পর অভিযানে যাওয়া এক হেড কনস্টেবলকে পুলিশ লাইনে সরিয়ে দেওয়া হয়।

দীপাবলিতে বেশ কয়েকটি রাজ্য সরকার বাজি বিক্রি ও পোড়ানো নিষিদ্ধ করেছিল। উত্তরপ্রদেশ সরকারও বাজি বিক্রি ও পোড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিল। গতকাল বুলান্দশহরের খুরজার পুলিশ অভিযানে নামে ও বাজি বিক্রি করার জন্য কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। সোশাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে শেয়ার করা একটি ভিডিয়োতে, একটি পুলিশ দলকে রাস্তার ধারের স্টলগুলিতে ভাঙচুর করতে দেখা যায়। আর তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে ছোটো ছোটো বাচ্চারা। তারা পুলিশ সদস্যদের আটকাতে এবং আতশবাজি বাজেয়াপ্ত করতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। স্টলগুলি ভেঙে দেওয়ার পরে পুলিশ কয়েকজন বিক্রেতাদের গ্রেপ্তার করেছিল এবং তাদের একটি পুলিশ গাড়িতে তোলে। ভিডিয়োতে, একটি ছোটো মেয়েকে পুলিশের গাড়ির দিকে দৌড়ে যেতে দেখা যায় এবং গাড়িতে বসে থাকা অফিসারকে তার বাবাকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করে সে। যদিও তার কথা শোনা হয়নি। ভিডিয়োটির শেষের দিকে, একজন পুলিশ আধিকারিককে ছোটো মেয়েটিকে দূরে ঠেলে সরিয়ে দিতে দেখা যায়। আরও পড়ুন: Coronavirus In India: ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত ৪৪,৬৮৪, মৃত্যু ৫২০ জনের

ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরে, বুলান্দশহর পুলিশ টুইটারে একটি বিবৃতি দেয়। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন যে কিছু লোক অবৈধভাবে বাজি বিক্রি করছে এই খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল বাজেয়াপ্ত করে এবং বিক্রেতাদের আটক করে। এসপি সন্তোষ কুমার সিংহ আরও জানান, এই ঘটনার সময় আতশবাজি বিক্রেতাদের বাচ্চারা গাড়ি ঘিরে ধরে এবং কাঁদতে শুরু করেছিল। আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পুলিশকে সংবেদনশীলতা এবং সহানুভূতি দিয়ে বিষয়টি মোকাবেলার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরে বুলান্দশহর পুলিশ টুইট করে জানায় যে হেড কনস্টেবল ব্রিজবীরকে পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়েছে।

রাতেই সেই বাজি বিক্রেতা ও তাঁর পরিবারের সঙ্গেই দীপাবলি পালন করে পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। বাজি বিক্রেতার মেয়েকে মিষ্টি খাইয়ে দেওয়া হয়। খুরজার সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, আমরা চাইনি যে পুলিশের প্রতি শিশুটির ক্ষোভ জমা হোক। সুতরাং আমরা এই মানবিক কাজটির কথা ভেবেছিলাম। আমরা এই বার্তাটিও পাঠাতে চাই যে কেবল বাজি ফাটানোর পরিবর্তে পরিবারের সাথেই দীপাবলি উদযাপিত হতে পারে।"