Karun Nair. (Photo Credits: X)

IPL 2025, DC vs MI: বাইশ গজের অবিশ্বাস্য চরিত্র হিসেবে নিজের নামটা গেঁথে ফেললেন করুণ নায়ার (karun Nair)। দীর্ঘ ৩ বছর পর আইপিএলে খেলতে নেমে দেশের হয়ে টেস্টে ত্রিশতরানের মালিক করুণ নায়ার ৪০ বলে ৮৯ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস খেললেন। মুম্বই ইন্ডিয়ন্সের বিরুদ্ধে সাত বছর পর আইপিএলে হাফ সেঞ্চুরি করলেন দিল্লি ক্যাপিটলসের কর্ণাটকী ব্যাটার। বুমরাদের নিয়ে ছেলেখেলা করে ২২ বলে হাফ সেঞ্চুরি করার আরও ঘাতক হয়ে ওঠেন করুণ। মুকেশ কুমারের পরিবর্তে ইমপ্যাক্ট সাব হয়ে নেমে একাই মাতিয়ে দিলেন করুণ।

কোটলায় করুণ কীর্তি

সাত বছর পর আইপিএলে হাফ সেঞ্চুরি করলেন করুণ

শনিবার মুম্বই ইন্ডিয়ন্সের বিরুদ্ধে বড় রান তাড়া করতে নেমে তিন নম্বরে পাটানো হয় 'ইমপ্যাক্ট সাব'করুণ নায়ারাকে। যে করুণকে নিলামে কেউ কিনতে না চাইলেও, মাত্র ৫০ লক্ষ টাকায় দলে নিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। সেই করুণই আইপিএলের অন্যতম স্মরণীয় ইনিংসটা খেললেন। সেঞ্চুরির দোরগড়ায় দাঁড়িয়ে ৩৩ বছরের করুণ মুম্বইয়ের কিউই স্পিনার মিচেল স্যান্টনারের যে ডেলিভারিতে বোল্ড হলে, সেটা সাম্প্রতিককালে বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা বল বলা যায়। এমন বল না হলে, করুণের সেঞ্চুরিটা নিশ্চিতভাবেই হয়ে যেত। ২০২২ সালে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলার পর, আর তাঁকে কেউ দলে নিতে না চাওয়ায় বাতিলের খাতায় চলে গিয়েছিলেন করুণ। কিন্তু তিন বছর পর তাঁর অবিশ্বাস্য প্রত্য়াবর্তন।

ঘরোয়া ক্রিকেটে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন করুণ

ক মাস আগে ঘরোয়া ক্রিকেটে বিদর্ভের জার্সিতে খেলে ৬টা ম্যাচ খেলে ৫টা সেঞ্চুরি, বিজয় হাজারে ট্রফিতে ৫৪২ রান করে একবার না হওয়ার রেকর্ড, এক মরসুমে ৭৫২ রান করে সব নজির ভেঙে দিয়েছিলেন করুণ নায়ার। কিন্তু এরপরেও তাঁকে কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি আইপিএলে নিলামে দলে নিতে আগ্রহ দেখায়নি। এদিন কোটলা (অরুণ জেটলি স্টেডয়ামে)-য় করুণ সব কিছুর জবাব দিয়ে দিলেন। বুমরাদের বোলিং নিয়ে কার্যত ছেলেখেলা করে ৫টি ওভার বাউন্ডারি, ১২টি বাউন্ডারি হাঁকালেন করুণ। ৮৯ রানের ইনিংসে তাঁর স্ট্রাইক রেট দাঁড়ায় ২২২.৫০। দেশের হয়ে ৬টি টেস্ট খেলে এক ইনিংসে ৩০৩ রান করেও বাদ পড়েছিলেন তিনি। তারপর জিম্বাবোয়েতে দুটি ওয়ানডে খেলার পর সেই যে বাদ পড়েছিলেন, করুণের আর জাতীয় দলে ফেরা হয়নি। শেষবার জাতীয় দলের হয়ে কর্ণাটকের তারকা ব্যাটার খেলেছিলেন ৯ বছর আগে। কিন্তু এখন তাঁর যা পারফরম্যান্স এবার তাঁকে টিম ইন্ডিয়ার সংসারে সুযোগ দিতেই হবে।