প্রতিটি শহর আর গ্রাম যেন একেকটি জীবন্ত ইতিহাসের গল্প বলে। পুরনো মন্দির, দুর্গ, স্মৃতিচিহ্ন, বা গ্রামের প্রাচীন বাড়ি—এসব শুধু ইট-পাথরের তৈরি নিদর্শনই নয়, বরং এগুলো তাদের শিকড়, তাদের সংস্কৃতি এবং তাদের পরিচয়ের অংশ। এই মূল্যবান ঐতিহ্য রক্ষার জন্যে প্রতি ১৮ এপ্রিল পালিত হয় World Heritage Day।  এই দিনটি পৃথিবীর নানান প্রান্তে মানুষের মনে ঐতিহ্যের গুরুত্ব স্মরণ করিয়ে দেয় এবং সকলের অতীতকে সম্মানে ধারণ করে রাখার আহ্বান জানায়। আজকের দ্রুতগামী জীবনে, যেখানে নতুনত্বের প্রতি সকলেরই আহ্বান থাকে, সেখানে ঐতিহাসিক স্থাপত্য ও প্রাচীন নিদর্শনের রক্ষা করাই মূল লক্ষ্য এই দিন্তির।

UNESCO এবং ICOMOS-এর উদ্যোগে এই দিবসটি উদযাপিত হয়, যাতে আমরা সবাই মিলে বুঝতে পারি, এই ধ্বংসের মাঝেও ঐতিহ্য রক্ষা করাটা এক মহান মানবীয় দায়িত্ব।

বর্তমান সময়ে নগরায়ন, প্রযুক্তির আধুনিকতা ও পরিবেশ দূষণের কারণে প্রাচীন নিদর্শন অনেক ক্ষেত্রেই ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে। কখনো দেখা যায়, ঐতিহাসিক স্থাপত্যর দেয়ালে কালো দাগ, বা কোন কোন স্থানে অপরিকল্পিত আধুনিক নির্মাণের ছোঁয়া ইতিহাসের পাতাগুলোকে মুছে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। সেই কারণেই ১৮ এপ্রিল আমাদের মনে করিয়ে দেয়, আমরা কি সত্যিই আমাদের অতীতকে যথাযোগ্য সম্মান ও যত্ন দিচ্ছি? এই দিনটি শুধুমাত্র উদযাপনের খুশিতে নয়, বরং আমাদেরকে জাগিয়ে তোলে ঐতিহাসিক নিদর্শন রক্ষায় সচেতন ও কর্মশীল হতে।

সংরক্ষণ মানে শুধু পুরাতন ভবন এড়িয়ে থাকা নয়, বরং সেই অমূল্য ইতিহাসকে বর্তমান ও ভবিষ্যতের মাঝে সেতুবন্ধন করা।