Photo Source: wikimedai and IANS

এরনাকুলাম, ১৩ মার্চ: "এটা কী?" প্রশ্নের উত্তরে জবাব, "মিড ডে মিল।" মায়ের জবাবে উত্তর ছোট্ট খুদের। সম্প্রতি কেরলের (Kerala) এমনই একটি ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সংবাদমাধ্যম সব জায়গায়। এখানেই শেষ নয়। এই কথোপকথন চলেছে আরও বেশ কিছুক্ষণ। মায়ের প্রশ্ন, "কোথা থেকে পেলি এটা?" ছেলের আদো আদো গলায় উত্তর"মুখ্য মন্ত্রী।" (Coronavirus Scare)

ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। সবশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ভারতে করোনায় আক্রান্ত সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭৮। পাশাপাশি, বৃহস্পতিবার রাতে করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর খবর এসেছে প্রকাশ্যে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল-কলেজ। অফিসে আসার উপর জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এহেন অবস্থায় বাড়িতেই বন্দী পড়ুয়ারা। পড়াশুনা বন্ধ হলেও খাওয়াদাওয়া যাতে পেটপুরে হয় সেদিকে নজর রেখেছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সকল পড়ুয়ার বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছে মিড-ডে মিলের খাবার। সেই খাবারের তালিকায় রয়েছে, চাল, ডাল, সবজি, ডিম, কলা এবং সপ্তাহে দু'বার ১৫০ মিলি দুধও মিলবে পড়ুয়াদের। মিড-ডে মিলের তালিকায় রয়েছে ফলের ভাণ্ডারও। ২০২০-২১-র হিসেব বলছে, কেরল সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে ২০,৮৬২ টাকা বিনিয়োগ করেছে। বৃহস্পতিবার ক্যাবিনেট মিটিংয়ের পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আরও পড়ুন: Dearness Allowance Raised by 4 Percent: করোনা আতঙ্কেই সুখবর, ৪ শতাংশ ডিএ বাড়ল কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের 

বাড়ির দোরগোড়ায় এসে প্রচার চালাচ্ছে সরকার। করোনাভাইরাস রুখতে কী করা উচিত এবং কী করা উচিত নয়। আর সেই প্রচার এতটাই শক্তিশালী যে, একটা প্রাইমারীর পড়ুয়াও বলছে, "গো করনা গো। তুমি আমার কিচ্ছু করতে পারবে না।"সেই ভিডিওটা টুইট করে শেয়ার করেছেন কেরলের অর্থমন্ত্রী থমাস ইসাক।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দেওয়া হয়েছে বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ। ৩১ মার্চ পর্যন্ত যেকোনও জনসমাগমের উপর জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। যারা বাড়ি থেকে কাজ করছেন তাদের সাহায্যের জন্য এক অভিনব পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। বাড়ি থেকে কাজ করার সময় ইন্টারনেট ব্যবহারে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেই কারণে রাজ্যজুড়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের স্পিড বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বেশ কিছুটা। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এমন পরিবারের খাওয়ার-দাওয়ার সরবরাহ করার ব্যবস্থাও নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে সরকার। নির্দিষ্ট এলাকার জেলাপ্রশাসকেরাই রয়েছেন এই কাজের দায়িত্বে।