কৃষক বিক্ষোভ (Photo Credits: ANI)

দিল্লি, ২৬ নভেম্বর: কেন্দ্রের নয়া কৃষি বিলের প্রতিবাদে ‘দিল্লি চলো’ স্লোগান তুলে রাজধানীর সীমানায় ভিড় করেছেন কৃষকরা (Farmers Protest)। আগে থেকেই এই বিদ্রোহ দমনে পর্যাপ্ত বন্দোবস্ত করেছিল প্রশাসন। হরিয়ানা দিল্লির সীমানায় বদরপুরে ব্রিজের উপর কৃষকদের রুখতে আগে থেকেই প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করে কার্যত দুর্গের চেহারা বানিয়ে ফেলা হয়েছিল। কিন্তু কৃষকরা এগোতেই বাধা দেয় পুলিশ-প্রশাসন। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। খণ্ডযুদ্ধের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। প্রায় দু’ঘণ্টা এই পরিস্থিতি চলার পর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। বদরপুর কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কৃষকদের দিল্লি চলো অভিযান। পাঞ্জাবের কৃষকরা রাজধানীতে আসার জন্য শুধু জাতীয় সড়ক নয় হরিয়ানাকেও বেছে নেয়। আরও পড়ুন-PM Modi Pays Tribute to Diego Maradona: বিশ্ববাসীর আদরের রাজপুত্র ফুটবলের মায়েস্ত্রো দিয়েগো মারাদোনা, স্মৃতিচারণ নরেন্দ্র মোদির

এক বিক্ষোভকারীকে বলতে শোনা যায়, রাস্তায় তারা ব্যারিকেড দিয়েছে। তবুও আমরা এগিয়ে যাব। জনগণ সমস্যায় পড়েছে। পারলে তারা রাস্তাও বন্ধ করে দিক। আন্দোলনরত কৃষকদের বাধাদান প্রসঙ্গে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি এক টুইট বার্তায় বলেন, “কৃষিবিল ফিরিয়ে নেওয়ার পরিবর্তে কৃষকদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বাধার সৃষ্টি করা হচ্ছে। তাঁদের উপরে জল কামান ছোঁড়া হচ্ছে। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশ সাংবিধানিক অধিকার।”

বুধবারই দিল্লি পুলিশের তরফে টুইট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ‘বেশ কয়েকটি সংগঠনের প্রতিবাদ কর্মসূচির (২৬ এবং ২৭ নভেম্বর) আবেদন পেলেও তার কোনওটির অনুমতি দেওয়া হয়নি। সব আবেদন খারিজ করা হয়েছে এবং সংগঠনগুলিকে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে’। পুলিশকে সহযোগিতার আর্জি জানিয়ে আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। কৃষকদের আন্দোলনের জেরে নিয়ন্ত্রিত করা হচ্ছে দিল্লির মেট্রো। টুইটারে মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কৃষকদের প্রতিবাদ কর্মসূচি এবং কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সকাল থেকে দুপুর দু’টো পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।