নয়া দিল্লি, ১৪ ফেব্রুয়ারিঃ ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্বজুড়ে ভ্যালেন্টাইন্স ডে উদযাপিত হলেও ভারতবাসীর কাছে এটি 'ব্ল্যাক ডে'। আজ থেকে ঠিক ছয় বছর আগে এই দিনটিতেও শহিদ হয়েছিলেন ভারতের ৪০ জন সেনা। পুলওয়ামা হামলার স্মৃতি যেন আজও জ্বলজ্বল করছে প্রতিটা দেশবাসীর মনে। হামলার জন্যে সন্ত্রাসবাদীরা ভালোবাসার এই দিনটাকেই কেন বেছে নিয়েছিলসেই প্রশ্নের উত্তর হয়তো কারুরই জানা নেই। দিনটা ছিল ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। শান্ত, স্নিগ্ধ সূর্যোদয় দিয়ে দিনটা শুরু হলেও শেষ হয়েছিল ভারতীয় সেনাদের রক্তে রাঙা সূর্যাস্ত দিয়ে।

পুলওয়ামা হামলায় কী ঘটেছিল?

২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সিআরপিএফ জওয়ানের ৭৮টি কনভয় ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে জম্মু থেকে কাশ্মীর যাচ্ছিল । বিকেল তখন ৩টে বেজে ১৫ মিনিট, লেথপোরায় অওয়ান্তিপোরা এলাকায় সেনাদের কনভয়ের মধ্য ঢুকে পড়ে বিস্ফোরক বোঝাই একটি গাড়ি। সোজা গিয়ে সিআরপিএফ জওয়ানের ৭৬তম ব্যাটেলিয়ানের ট্যাঙ্কারে ধাক্কা মারে। মুহূর্তে বিস্ফোরণ। নিহত হন ৪০ জন জওয়ান । আহত হন আরও অনেকে । তদন্তে উঠে আসে হামলার পিছনে রয়েছে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদের হাত।

পাকিস্তানের একটা বিস্ফোরক হামলায় নিঃস্ব হয়ে গিয়েছে ৪০টি মায়ের কোল। প্রতি বছর এই ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটি যেন বীর পুত্রহারা সেই বাবা-মায়েদের চোখ নতুন করে ভিজে ওঠে।

পুলওয়ামা হামলায় বীর শহিদঃ 

Heartfelt Tribute to the Pulwama Bravehearts!

We salute our valiant fighters, whose ultimate sacrifice will always be remembered. The nation stands forever indebted to them and their families.#CRPF#PulwamaMartyrs #NationFirst@gpsinghips @HMOIndia @PIBHomeAffairspic.twitter.com/FXDujWdJr7

— 🇮🇳CRPF🇮🇳 (@crpfindia) February 14, 2025

পুলওয়ামা হামলায় নিহত ৪০ জন বীর শহিদদের তালিকা রইলঃ

জম্মু সেক্টরঃ

১) নাসির আহমেদ (জম্মু ও কাশ্মীর)

২) জয়মল সিং (পাঞ্জাব)

৩) সুখজিন্দর সিং (পাঞ্জাব)

৪) তিলক রাজ (হিমাচল প্রদেশ)

৫) রোহিতাশ লাম্বা (রাজস্থান)

শ্রীনগর সেক্টরঃ

৬) বিজয় সোরেং (ঝাড়খণ্ড)

৭) বসন্ত কুমার ভিভি (কেরালা)

৮) সুব্রামানিয়াম জি (তামিলনাড়ু)

৯) মনোজ কুমার বেহেরা (উড়িষ্যা)

১০) জিডি গুরু এইচ (কর্ণাটক)

১১) নারায়ণ লাল গুর্জর (রাজস্থান)

১২) মহেশ কুমার (উত্তরপ্রদেশ)

১৩) প্রদীপ কুমার (উত্তরপ্রদেশ)

১৪) হেমরাজ মীনা (রাজস্থান)

১৫) পিকে সাহু (ওড়িশা)

১৬) রমেশ যাদব (উত্তরপ্রদেশ)

১৭) সঞ্জয় রাজপুত (মহারাষ্ট্র)

১৮) কৌশল কুমার রাওয়াত (উত্তরপ্রদেশ)

১৯) প্রদীপ সিং (উত্তরপ্রদেশ)

২০) শ্যাম বাবু (উত্তরপ্রদেশ)

২১) অজিত কুমার আজাদ (উত্তরপ্রদেশ)

২২) মনিন্দর সিং আত্রি (পাঞ্জাব)

২৩) বাবলু সাঁতরা (পশ্চিমবঙ্গ)

২৪) অশ্বিনী কুমার কাওচি (মধ্যপ্রদেশ)

২৫) রাঠোড় নীতিন শিবাজি (মহারাষ্ট্র)

২৬) ভাগীরথী সিং (রাজস্থান)

২৭) বীরেন্দ্র সিং (উত্তরাখণ্ড)

২৮) অবধেশ কুমার যাদব (উত্তরপ্রদেশ)

২৯) রতন কুমার ঠাকুর (বিহার)

৩০) কঙ্কজ কুমার ত্রিপাঠী (উত্তরপ্রদেশ)

৩১) জিৎ রাম (রাজস্থান)

৩২) অমিত কুমার (উত্তরপ্রদেশ)

৩৩) বিজয় কৃষ্ণ। মৌর্য (উত্তরপ্রদেশ)

৩৪) কুলবিন্দর সিং (পাঞ্জাব)

৩৫) মানেশ্বর ভুটারি (আসাম)

৩৬) মোহন লাল (উত্তরাখণ্ড)

৩৭) সঞ্জয় কুমার সিনহা (বিহার)

৩৮) রাম ভাকিল (উত্তরপ্রদেশ)