
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হামেশাই ঘটে চলেছে ধর্ষণ বা শ্লীলতাহানির ঘটনা। অধিকাংশ ঘটনা সত্যি হলেও বেশকিছু ক্ষেত্রে মিথ্যা অভিযোগের ক্ষেত্রে গ্রেফতার হয়ে হয় পুরুষদের। যার ফলে বেশিরভাগ সময়ই অভিযুক্ত নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতেও ব্যর্থ হয়। আর সেই কারণে জেলবন্দি অভিযুক্তের জীবন, সেই সঙ্গে তাঁদের পরিবারও নষ্ট হয়ে যায়। তবে এবার একটি ব্যতিক্রমী চিত্র দেখা দিল দিল্লি আদালতে (Delhi Court)। এক ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তি বছর ছয়েক বাদে নির্দোষ প্রমাণিত হলেন। সেই সঙ্গে অভিযোগকারী ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁকে ফাঁসিয়েছে, সেটিও প্রমাণিত হল।
জানা যাচ্ছে, ২০১৯-এর নভেম্বরের ২৩-২৪ তারিখে দিল্লির একটি হোটেলে ধর্ষণ করা হয়েছিল, এই অভিযোগের ভিত্তিতে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করে দিল্লি পুলিশ। এরপর সেই মামলার শুনানি শুরু হয় আদালতে। শুক্রবার এই মামলার রায় দেন বিচারপতি অনুজ আগারওয়াল। রায় দেওয়ার সময় বিচারপতির বলেন, অভিযোগকারী আগেও ৬ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ বা শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছিলেন। সেই সময়ও তাঁদের থেকে টাকা নিয়ে মামলা তুলেছিলেন। অভিযোগকারিনী একই ভাবে এই ব্যক্তির থেকেও সাত লক্ষ টাকার দাবি করেছিলেন।
বিচারপতির পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, যেকোনও ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তের সামাজিক, আর্থিক ও পারিবারিক জীবন বিপন্ন হয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রেই অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হয়। কিন্তু যাঁরা সত্যিই নির্দোষ, তাঁরা যে জীবনের অর্ধেক সময় তিলে তিলে সম্মান অর্জন করেছেন, তাঁরা মিথ্যার ফাঁদে পড়ে সবকিছু শেষ করে ফেলছেন। ফলে যাঁরা অভিযোগ করছেন তাঁরা অন্তত মানবিকভাবে ভাবনাচিন্তা করে অভিযোগ করবেন। এদিন রায়দানের পর কান্নায় ভেঙে পড়েন অভিযুক্ত ব্যক্তি।