প্রতীকী ছবি (Photo Credits: Pixinio)

সোনভদ্র, ২১ ফেব্রুয়ারি: ভারতে সোনার খনি (Goldmines)! আবার একটি নয়, দুটি। একেবারেই ঠিক পড়ছেন। দু’দশক ধরে তন্নতন্ন করে খোঁজ চালানোর পর অবশেষে মাটির নীচে বিশাল সোনার খনির হদিশ পেল জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (Geological Survey of India) ও উত্তরপ্রদেশের ডিরেক্টরেট অফ জিওলজি অ্যান্ড মাইনিং (Uttar Pradesh Directorate of Geology and Mining)। তাও আবার একটি নয়, একসঙ্গে দু-দুটি। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মাওবাদী অধ্যুষিত সোনভদ্র (Sonbhadra District) জেলায় খোঁজ মেলা এই দুটি সোনার খনিতে আনুমানিক ৩৩৫০ টন সোনা মজুত রয়েছে। বর্তমানে ভারতের গোল্ড রিজার্ভের মোট পরিমাণ ৬২৬ টন। অর্থাৎ, এই খনি দুটিতে মজুদ সোনার পরিমাণ প্রায় পাঁচগুণ। এই দুটি খনির একটি রয়েছে হারদিতে (Hardi field), অন্যটি সোনপাহাড়িতে (Sonpahadi)।

জিএসআই-র অনুমান, সোনপাহাড়িতে প্রায় ২,৭০০ টন সোনা মজুদ থাকতে পারে। অন্যদিকে, হারদিতে রয়েছে প্রায় ৬৫০ টন সোনা। উত্তরপ্রদেশের ডিরেক্টরেট অফ জিওলজি অ্যান্ড মাইনিং বিভাগের কর্তাদের মতে, সোনভদ্রর ভৌগলিক অবস্থানের ফলে অঞ্চলটি খনন করা সহজ হবে। বৃহস্পতিবার রাজ্য খনন বিভাগের সাত সদস্যের একটি দল সোনভদ্র যায়। সেখানে তারা জিও ট্যাগিং করা হয়েছে। জেলার খনি আধিকারিক কেকে রাই জানান, ২০০৫ সালে প্রথমবার এখানে সোনার অস্তিত্বের কথা জানিয়েছিল জিএসআই। ২০১২ সালে ওই দাবি সত্য প্রমাণিত হয়। দেখা যায়, মাওবাদী-অধ্যুষিত অঞ্চলের পাহাড়ের তলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ সোনা। তিনি বলেন, “সরকার খনি থেকে সোনা উত্তোলনের জন্য ইজারা দেওয়ার কথা ভাবছে। যার জন্য একটি সমীক্ষাও করা হচ্ছে।" আরও পড়ুন: Washrooms On Wheels: গোলাপি বাসে 'ওয়াশরুমস অন হুইলস', মহিলাদের চিন্তা থেকে রেহাই

জানা যাচ্ছে, ওই এলাকায় ইউরেনিয়ামের মতো বিরল খনিজের উপস্থিতির সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সোনার খনি এবং অন্য খনিজ আবিষ্কার কেবলমাত্র সরকারের রাজস্ব আয় বাড়িয়ে তুলবে না, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে।