আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অনেক সমস্যা দেখতে পাওয়া যায়। এই সময়কালে শরীরের আরও পুষ্টি এবং শক্তির প্রয়োজন হয়। তার সঙ্গে শরীরে সমস্ত ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ থাকাও গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান যুগে ভিটামিন বি১২-এর অভাব একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভিটামিন বি১২-এর অভাবে ক্লান্তি, খিটখিটে ভাব, দুর্বল স্মৃতিশক্তি এবং ত্বক ও চুল সম্পর্কিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। ভিটামিন বি১২ মূলত আমিষ খাবারে পাওয়া যায়, নিরামিষাশীদের জন্য এর অভাবের ঝুঁকি বেশি থাকে।

নিরামিষাশীদের জন্য দই একটি দুর্দান্ত বিকল্প হতে পারে, যা পুষ্টির একটি ভালো উৎস হওয়ার পাশাপাশি ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি পূরণ করতেও সাহায্য করে। দইয়ের সঙ্গে কিছু বিশেষ জিনিস যুক্ত করলে এর পুষ্টি আরও বৃদ্ধি পায়। তিসির বীজে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ফাইবার থাকে। এমন পরিস্থিতিতে, দইয়ের সঙ্গে ১-২ চা চামচ তিসির বীজ মিশিয়ে খেলে ভিটামিন বি১২ এর ঘাটতি পূরণ হওয়ার সঙ্গে পুরুষদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী হয় এবং হজমশক্তি উন্নত হয়।

আখরোট এবং বাদাম ভিটামিন ই, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ। এগুলো গুঁড়ো করে মিশিয়ে দইয়ের সঙ্গে খাওয়া যেতে পারে। স্বাস্থ্যকর পুষ্টির এই সংমিশ্রণ ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী। এছাড়া কুমড়োর বীজ আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং জিঙ্কের ভালো উৎস। কুমড়োর বীজ হালকা করে ভেজে দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এটি পুষ্টি বাড়ানোর সঙ্গে শরীরকে শক্তিও প্রদান করে। এছাড়া কারি পাতায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট। দইয়ের সঙ্গে ১-২ চিমটি কারি পাতার গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে পুষ্টি বৃদ্ধি হওয়ার সঙ্গে হজমশক্তি উন্নত হয়।