দিল্লি, ১৮ সেপ্টেম্বর: কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে এবার ভারত পাকিস্তানর মুকোমুখি বসে আলোচনা করা উচিত। বুধবার এই মর্মে দুই দেশের কাছেই আবেদন রাখল ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন পার্লামেন্ট ইইউ (EU)। মূলত কাশ্মীরে শান্তি ফেরাতেই ভারত পাকিস্তানের মধ্যে চলতে থাকা ছায়াযুদ্ধের সত্ত্বর অবসান জরুরি। এমনটাই মনে করে ইইউ। গত ৫ আগস্ট কাশ্মীরে ৩৭০ (Article 370) ধারা বিলুপ্তির পর থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত পাকিস্তান। কখনও দ্বিতীয় পুলওয়ামা হামলার হুমকি দিচ্ছেন ইমরান খান। কখনও বা বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরোশি পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের রাষ্ট্র বলে উল্লেখ করছেন। একের পর এক ঝামেলায় বিপর্যস্ত গোটা উপত্যকা, বিদেশরে মাটিতেও এনিয়ে ভারতকে বিড়ম্বনায় ফেলার ব্যর্থ প্রচেষ্টা থেকে পাকিস্তান সরে আসেনি।
আগামী ২৭ তারিখ রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় কাশ্মীর প্রসঙ্গেই বক্তব্য রাখবেন নরেন্দ্র মোদি ও ইমরান খান। সেখানে ভারতকে পর্যুদস্ত করতে এখনই কাজ শুরু করে দিয়েছেন ইমরান। কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে বলে চেঁচামেচি করলেও ভারতের বিদেশ মন্ত্রক এই দাবিকে খণ্ডন করেছে। উল্টে মুজাফ্ফরাবাদে যে ইমরান খানের বিরুদ্ধে আন্দোলন হচ্ছে তার প্রমাণ মিলেছে। এদিকে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর মার্কিন সফরে রওনা হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগে আকাশ সীমা ব্যবহারের জন্য পাকিস্তানের কাছে সরকারি ভাবে সাউথ ব্লকের অনুরোধ গেলেও এখনও তার জবাব আসেনি। পাকিস্তান যদি নরেন্দ্র মোদির বিমানের জন্য আকাশ সীমা ব্যবহারের ছাড়পত্র না দেয় তাহলে আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থার নিয়ম ভাঙার দায়ে বিরাট অংকের জরিমানার মুখে পড়তে পারে ইসলামাবাদ। আরও পড়ুন-নরেন্দ্র মোদি-র বিমানকে পাকিস্তানের আকাশপথ ব্যবহারের জন্য আবেদন ভারতের
সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ করে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার পর থেকেই ভারতের ওপর ক্ষুব্ধ পাকিস্তান তাদের আকাশপথ ব্যবহার করতে দিচ্ছে না। আকাশপথ নিয়ে ভারতকে জব্দ করার কৌশলটা পাকিস্তানের পুরনো কৌশল। বালাকোট সার্জিকাল স্ট্রাইকের পরেও ভারতের বিমানের জন্য পাকিস্তানের আকাশপথ বন্ধ করে দিয়েছিল পাক সরকার। এরপর বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের ১৪০দিন পর ভারতের বানিজ্যিক বিমানের জন্য আকাশপথ খুলেছিল পাকিস্তান। পরে তা বন্ধ করে দেয়। কয়েকদিন আগে রাষ্ট্রপতি রামনাত কোবিন্দের আইসল্যান্ড সফরে যাওয়ার সময় আকশপথ ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি পাকিস্তান।