নতুন দিল্লি, ১৯ এপ্রিল: লকডাউন (Coronavirus Lockdown) যতদিন জারি থাকবে ততদিন ই-কমার্স (E-commerce) সংস্থাগুলির দ্বারা জরুরি নয় এমন পণ্য সরবরাহ বন্ধই থাকবে। আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Ministry of Home Affairs) এক নির্দেশিকায় একথা জানিয়েছে। যদিও এ সপ্তাহের শুরুতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছিল, ই-কমার্স সংস্থাগুলি জরুরি নয় এমন পণ্যও বিক্রি করতে পারবে।
১৬ এপ্রিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানায়, ২০ এপ্রিলের পর থেকে ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী যেমন টিভি, ফ্রিজ বা মোবাইল ফোন আমাজন (Amazon), ফ্লিপকার্ট (Flipkart) সহ অন্য ই-কমার্স সংস্থা (E-Commerce) থেকে কেনা যাবে। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দ্বিতীয় দফায় ৩ মে পর্যন্ত লকডাউন জারি রাখার ঘোষণা করেন। বুধবারই লকডাউনের গাইডলাইন নিয়ে নয়া নির্দেশিকা প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ২০ এপ্রিল থেকে ছাড় দেওয়া হবে আইটি, ই-কমার্স ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় পরিবহনের ক্ষেত্রে। ছাড় থাকছে কৃষিকাজ ও কৃষি বিপণন এবং তার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য কাজ, নির্দিষ্ট কিছু শিল্প ও ডিজিটাল অর্থনীতিতে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সাধারণ পণ্য, দুটির পরিবহনেই মিলবে ছাড়। যদিও আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মুখপাত্র নির্দেশিকায় জানিয়েছেন, "লকডাউনের সময় ই-কমার্স সংস্থাগুলির অ-জরুরি পণ্য সরবরাহ বন্ধ থাকবে।" আরও পড়ুন: Coronavirus Lockdown: ২০ এপ্রিলের পর আমাজন, ফ্লিপকার্টে কেনা যাবে টিভি, ফ্রিজ ও মোবাইল
Supply of non-essential goods by e-commerce companies to remain prohibited during #Lockdown2 to fight #COVID19. pic.twitter.com/6Jdvuzw6VJ
— Spokesperson, Ministry of Home Affairs (@PIBHomeAffairs) April 19, 2020
লকডাউন শুরু হওয়ার পরে ভারতে পণ্য সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছিল অ্যামাজন, ফ্লিপকার্টের মতো আরও অনেক ই-কমার্স সংস্থা। এবার তা শুরু হওয়ার কথা ছিল। লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ২০ এপ্রিলের পরে দেশের যে যে জায়গা সংক্রমণহীন সেখানে একটু একটু করে স্বাভাবিক হবে জনজীবন। কোন কোন জায়গা তা সরকারি ভাবেই ঠিক করা হবে।