দিল্লির পরিবেশ দূষণ ঠেকাতে কেন্দ্রের কাছে কৃত্রিম বৃষ্টিপাতের অনুমতি চাইল আম আদমি পার্টির সরকার। মঙ্গলবার দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই কেন্দ্রীয় সরকারকে লেখা এক চিঠিতে কৃত্রিম বৃষ্টিপাতের উপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপের দাবি জানান।নয়াদিল্লিতে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময়, মিঃ রাই বলেন, বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করা হয়েছে, এবং দিল্লি-এনসিআর-এ ধোঁয়াশা ছড়িয়ে দিতে এবং বায়ুর মান উন্নত করতে কৃত্রিম বৃষ্টি শুরু করার সময় এসেছে। মন্ত্রী বলেন, উত্তর ভারত জুড়ে ধোঁয়াশার চাদর ঢেকে রয়েছে। এই পরিস্থিতি পরিত্রাণের একমাত্র উপায় কৃত্রিম বৃষ্টি। এমনকি কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী ভূপেন্দর যাদবকে চিঠি লিখে বায়ু দূষণ নিয়ে জরুরি বৈঠকের অনুরোধ জানিয়েছেন দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই।
এদিকে, দিল্লি-এনসিআর-এ বায়ুর গুণমান ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে। আজ দুপুর ১টা পর্যন্ত বায়ুর গুণগত মান (AQI) ৪৭৩-পেরিয়ে গেছে। সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের মতে, দিল্লির কিছু অংশ ৪৮০ টিরও বেশি AQI স্তরের সাক্ষী রয়েছে, যা গুরুতর প্লাস বিভাগের অধীনে আসে। শহরের বাওয়ানা এলাকায় ৪৮৩ AQI, জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে ৪৬৩, আনন্দ বিহারে ৪৮৯, এবং আর কে পুরমে 4 রেকর্ড করা হয়েছে।
বায়ুর গুণগত মানের অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে, দিল্লি, গাজিয়াবাদ এবং নয়ডার স্কুলগুলি আজ থেকে অনলাইন ক্লাসে বদলে গেছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় এবং জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার মতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলিও শনিবার পর্যন্ত অনলাইন ক্লাসের দ্বারস্থ হয়েছে ও জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় শুক্রবার পর্যন্ত তা করেছে। দিল্লির পরিবেশ মন্ত্রী পদক্ষেপের জরুরী প্রয়োজনের উপর জোর দিয়ে বলেছেন যে ধোঁয়াশা সমস্যা মোকাবেলা না করে বায়ুর গুণমান উন্নত করা অসম্ভব।
সকালে সুপ্রিম কোর্টের কার্যাবলি শুরু হওয়ার মুখে বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কপিল সিবাল সহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী দিল্লি ও এনসিআরের বায়ুদূষণ নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন প্রধান বিচারপতির। তাঁরা শীর্ষ আদালতের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানান। সেই আবেদনের জবাবে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমার জানান, আমরা বিচারকদের বলেছি যেখানে যেখানে সম্ভব, সেখানে ভার্চুয়াল শুনানি করতে। সিবাল বলেন, দূষণ নিয়ন্ত্রণে বাইরে চলে গিয়েছে। তাঁর যুক্তিকে সমর্থন করেন দেশের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এবং গোপাল শঙ্করনারায়ণও।