দিল্লি, ১১ সেপ্টেম্বর: কয়েকঘণ্টা আগেই গরুর সুরক্ষা প্রসঙ্গে মুখ খুলে দেশের বিরোধী রাজনীতিকদের উদ্দেশ্যে তীব্র কটাক্ষ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বলেছিলেন, ‘গরু আর ওম শুনলেই কারও কারও চুল একেবারে খাড়া হয়ে যায়।’ তাঁর বক্তব্য জনমানসে হজম হওয়ার আগেই পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না এআইএমআইএম(অল ইন্ডিয়া মজলিশ-ই ইত্তেহাদুল মুসলেমিন) নেতা (AIMIM chief) আসাদউদ্দিন ওয়েসি। তিনি বলেন, গরু আমাদের হিন্দু ভাইদের কাছে পবিত্র পশু। কিন্তু একই সঙ্গে ভারতীয় সংবিধানে উল্লেখিত মানুষের বেঁচে থাকার অধিকারকেও সম্মান জানানো উচিত। গোরক্ষার নামে গণপিটুনিতে মানুষের মৃত্যু কী আদৌ মেনে নেওয়া যায়?
তাই গরুর পাশাপাশি এদেশে মানুষের বেঁচে থাকারও সমান অধিকার রয়েছে। সেই সম্মান তো তারও প্রাপ্য। প্রধানমন্ত্রী আশাকরি এটা ভুলে যাননি। লোকসভার সাংসদ বলেন, ‘হিন্দু ভাইদের কাছে গরু পবিত্র পশু। কিন্তু সংবিধানে তো মানুষেরও বেঁচে থাকার সমানাধিকারের কথা উল্লেখ আছে। কেন্দ্রের মোদি সরকারের অন্যতম বড় সমালোচক হলেন সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েসি (Asaduddin Owaisi)। গত পাঁচ বছরে গো-রক্ষার নামে কীভাবে মব লিঞ্চিংয়ের শিকার হয়েছেন সাধারণ মানুষ তার বিবরণ দিয়েছেন ওয়েসি। তিনি বলেছেন, বেশিরভাগ সময়ই কারণ না জেনে শুধুমাত্র সন্দেহের বশে গণপিটুনিতে মানুষ মেরেছে গো-রক্ষকরা। তাদের দাবি, মৃত মানুষটি নাকি গরু নিয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। কখনও সাফাই দিয়েছে, মৃত মানুষটি গরুর মাংস খাবে বলে নিয়ে যাচ্ছিল। এর সপক্ষে কিন্তু কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি তথাকথিত গো-রক্ষকরা। এই বিষয়টিও প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) যত্ন নিয়ে ভাববেন আশাকরি।’ আরও পড়ুন-‘কিছু লোকের দেখছি গরুর নাম শুনলেই চুল খাড়া হয়ে যায়’, পশু চিকিৎসা কেন্দ্রের উদ্বোধনে বিরোধীদের কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রীর
Asaduddin Owaisi on PM Modi's remark "kuchh logo ke kaan par agar 'om' aur 'gaaye' shabd padhta hai to unke baal khade ho jate hain": Cow is a sacred animal for our Hindu brothers but in Constitution right to life&equality has been given to humans, I hope PM will keep it in mind. pic.twitter.com/o29mvSwtw8
— ANI (@ANI) September 11, 2019
বুধবার মথুরায় জাতীয় পশু রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প (এনএডিসিপি)-এর উদ্বোধন করেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি বলেন, ‘ভারতীয় অর্থনীতির দিক থেকে পরিবেশ ও প্রাণিকুল সব সময়েই গুরুত্বপূর্ণ। কেবল মাত্র প্রকৃতি ও অর্থনৈতিক উন্নতির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারলেই আমরা শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারি। গরু বা ওম শব্দ শুনলেই কিছু মানুষের চুল খাড়া হয়ে যায়। তাঁরা মনে করেন, দেশ বোধহয় ষোড়শ শতকে ফিরে গেল। গবাদি পশু ছাড়া কি গ্রামীণ অর্থনীতির কথা ভাবা যায়!’