মথুরায় নরেন্দ্র মোদি(Photo Credit: ANI)

মথুরা, ১১ সেপ্টেম্বরপশুরোগ চিকিৎসা কেন্দ্রের অনুষ্ঠানে এসে গরুকে মুখ্য ধরে কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বললেন, গরুর নাম শুনলেই কিছু লোকের এখন শক লাগে। গরু, ওম– এ সব শব্দ শুনলে কারও কারও এ রকমই হচ্ছে দেখছি। মজার বিষয় হল, গরু এখন আর শুধু গবাদি পশু নয়, ভারতের ঘরোয়া রাজনীতিতে বহু যত্নে লালিত পশুও বটে! তাকে সামনে রেখে রক্তক্ষয়, গণপিটুনি, পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি ইস্তক কিছুই ইদানীং বাদ যায়নি। অহরহ বিজেপি নেতার গরুর গুণগান গাইতে গিয়ে বিজ্ঞান বাস্তবতাকে অস্বীকার করে বসছেন। মাঝে মাঝে এমন হাস্যকর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে যে না হেসে পারা যায় না। বুধবার সেই গরুর প্রসঙ্গ ফের তুলে আনলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)।

উল্লেখ্য, পশু রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি নিয়ে এক সম্মেলনে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি  বলেন, “কিছু লোকের দেখছি গরুর নাম শুনলেই চুল খাড়া হয়ে যায়। যেন শক লেগেছে! অথচ ভারতের অর্থনীতিতে গরুর ভূমিকা কম নয়। প্রকৃতি, প্রাকৃতিক সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণ এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের মধ্যে ভারসাম্য রেখেই আমাদের এগোতে হবে।” পশুরোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির জন্য কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে একশো শতাংশ অনুদান দেবে। এ জন্য ১২ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রের সরকার। কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হল গবাদি পশুদের ভ্যাকসিন দেওয়া। গরু, মোষ, ভেড়া, ছাগল, শুয়োরের আকছার ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ হচ্ছে। এ সব রোগ থেকে তাঁদের বাঁচাতেই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। আরও পড়ুন-মানুষ আজ ক্যাবে চড়তে পছন্দ করছে তাই গাড়ির বিক্রিতে মন্দা এসেছে, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের সাফাইতে হইচই

গরুকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর করা কটাক্ষ এখন রাজ্য রাজনীতিরও আলোচনার বিষয়। সব শুনে তৃণমূলের এক নেতা বলেন, এমন নয় যে প্রধানমন্ত্রী মঙ্গল গ্রহ থেকে গরু নিয়ে এসেছেন। সেই কবে থেকে গরু ভারতীয় অর্থনীতির অঙ্গ। শিশুরাও তা জানে। কিন্তু গরুর মতো একটা নিরীহ প্রাণী কখনও এ দেশে সামাজিক বিভাজনের প্রতীক হয়ে ওঠেনি যা এখন হচ্ছে। এটাই দুর্ভাগ্যজনক। উত্তরপ্রদেশের মথুরায় (Mathura) একটি পশুরোগ চিকিৎসা কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। সেই উপলক্ষেই এ দিনের অনুষ্ঠান ছিল। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও।