কলকাতা, ৯ নভেম্বর: এক মাসেরও বেশি সময় ধরে দক্ষিণ কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন প্রবীণ অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (Soumitra Chatterjee)। করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। সিওপিডির রোগী সৌমিত্র এমনিতেই ফুসফুসের সংক্রমণে ভোগেন। সেখানে করোনার থাবা পড়ায় পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে। প্রায় ২ সপ্তাহ লড়াই করার পর করোনা মুক্ত হন প্রবীণ অভিনেতা। তবে করোনা গেলেও কোভিড এনসেফালোপ্যাথির প্রকোপে একটু একটু করে তাঁর সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে। প্রায় ২০ দিনের উপরে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মস্তিষ্ক কাজ করছে না। গ্লাসগো কোমা স্কেলের সূচক ১০-১১-র মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। কয়েক দিন ধরে একই অবস্থায় রয়েছেন অভিনেতা।
শুক্রবার চোখ খুলে তাকিয়েছিলেন। তবে সাড়া দেওয়ার ক্ষমতা এখনও তাঁর আসেনি। এখনই অভিনেতার প্লাজমা ফেরোসিস নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া না হলেও এনিয়ে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা চলছে। কিডনির কর্মক্ষমতা সচল রাখতে রবিবার ফের ডায়ালিসিস হয়েছে। শরীরের অন্যান্য পারামিটার স্থিতিশীল রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার চোখ খুলে তাকিয়েছেন। সাড়াও দিয়েছেন নিজের মতো করে তবে তা অর্থবহ নয়। কিন্তু এক সপ্তাহ আগেও যে শারীরিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন অভিনেতা তাঁর থেকে এখন অনেকটাই ভালো আছেন তিনি। গ্লাসগো কোমা স্কেলের সূচকে মস্তিষ্কের সচেতনতার মাত্রা ১০ ও ১১-র মধ্যেবর্তী জায়গায় রয়েছে। এমনকী, স্বাভাবিক মূত্রও ত্যাগ করেছেন তিনি। কিডনির কর্মক্ষমতা পুরোপুরি ফিরে না আসায় একদিন অন্তর চলছে ডায়ালিসিস। বৃহস্পতিবার হাসপাতাল মেডিক্যাল বুলেটিন বলছে গত সপ্তাহের তুলনায় অনেটকাই ভালো আছেন প্রবীণ অভিনেতা। আরও পড়ুন-Donald Trump: প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়ার আগে করোনার দায়ে দুষ্ট চিনকে শাস্তি দিতে পারেন ট্রাম্প, বিশেষজ্ঞ মতামত
টানা একমাস কোমর্বিডিটির সঙ্গে ক্রমাগত লড়াই করে চলেছেন তিনি। সমস্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সচল রাখতে দিনের পর দিন তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। সংকট অনেকটাই কেটেছে। তবে একটানা ক্রিটিক্যাল কেয়ার সাপোর্টে থাকায় দুর্বলও হয়ে পড়েছেন অভিনেতা। এদিকে বৃহস্পতিবার বাবাকে চোখ খুলতে দেখে স্বস্তি পেয়েছেন অভিনেতার মেয়ে। চিকিৎসকরাও অনেকটা নিশ্চিন্ত। তবে ফের প্লাজমা থেরপি করা হবে কি না তানিয়ে আজ বৈঠকে বসবেন নেফ্রলজিস্টরা। এমনকী অভিনেতাকে ভেন্টিলেশনের বাইরে বের করা হবে কিনা তানিয়েও আলোচনা হবে