ওয়াশিংটন, ২৪ ডিসেম্বর: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে (Donald Trump) দোষী সাব্যস্ত করে পদ থেকে অপসারণ করা হবে কি না তানিয়ে কোনও কাজই এগোয়নি। সোমবার সাংবাদিকদের একথাই জানিয়েছেন মার্কিন সেনেটের মেজরিটি লিডার মিচ ম্যাকনেল (US Senate Majority Leader Mitch McConnell)। ডেমোক্র্যাটরা আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছে, ইমপিচমেন্ট নিয়ে আলোচনার শর্ত চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত তারা সেনেটে প্রস্তাব পাঠাবে না। এ দিকে, এই শর্তাবলী নিয়েই বেধেছে যাবতীয় টানাপোড়েন। শোনা যাচ্ছে, ডেমোক্র্যাট-রিপাবলিকানদের মধ্যে তীব্র মতানৈক্যের জেরে ক্রিসমাসের আগে সেনেটে শুরু করা যাচ্ছে না ইমপিচমেন্টের শুনানি (Impeachment Trial)। সবমিলিয়ে জটিল পরিস্থিতির মোকাবিলায় বেশ খানিকটা সময় লাগবে। তাই সরকারিভাবে ঘোষণা না হলেও বোঝাই যাচ্ছে ক্রিসমাসের আগেভাগে আর অপ্রিয় সত্য শুনতে হচ্ছে না ট্রাম্পকে।
এদিকে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বড়সড় প্রমাণ পেয়েছে ডেমোক্র্যাটরা। প্রকাশ্যে আসা কিছু ইমেল থেকে দেখা যাচ্ছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্পের টেলিফোনিক কথোপকথনের পরই ইউক্রেনের বিশেষ অনুদান বন্ধ করে দেয় আমেরিকা। বিরোধীদের দাবি, এ থেকেই পরিষ্কার তদন্ত নিয়ে কিভের উপর চাপ তৈরি করতেই অনুদানকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছেন প্রেসিডেন্ট। প্রসঙ্গত, এক হুইসলব্লোয়ারের অভিযোগের সূত্র ধরে প্রথম যখন বিতর্কটি প্রকাশ্যে আসে তখন এই অভিযোগও উঠেছিল। এক আধিকারিক দাবি করেছিলেন, ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ শিবির থেকে বলা হয়েছিল, জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু না করলে সামরিক অনুদানের বাকি টাকা ইউক্রেন পাবে না। এমতাবস্থায় ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট আটকে যেতে গোলযোগ শুরু হয়েছে। তবে ক্রিসমাসের আবহে কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন না। আরও পড়ুন-Donald Trump Impeachment: মার্কিন কংগ্রেসের ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগ, সেনেটে বিচারের মুখোমুখি ডোনাল্ড ট্রাম্প
জানা গিয়েছে, বিরোধীরা ইচ্ছে যে সাক্ষীদের হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভে ডাকার অনুমতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দেননি। তাঁদের যেন সেনেটের শুনানিতে ডাকা হয়। এই সাক্ষীদের অধিকাংশই প্রশাসনের শীর্ষস্তরের আধিকারিক। হাউসের তদন্ত কমিটি এঁদের সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ডেকেছিল, কিন্তু হোয়াইট হাউস জানিয়ে দিয়েছে তারা কাউকে এই শুনানিতে পাঠাবে না। এই সাক্ষীদের ডাকার জন্য রিপাবলিকানদের অধীনে থাকা সেনেটের উপর চাপ তৈরি করছে ডেমোক্র্যাটরা। এনিয়ে সেনেটের নেতা মিচ ম্যাকনেলকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। রিপাবলিকানরা অবশ্য এত সহজে এই দাবি মেনে নেবেন, এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। স্বাভাবিক ভাবেই দু'পক্ষের টানাপোড়েনের জেরে ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছে সেনেটের শুনানি।