ওয়াশিংটন, ২৬ জুন: মার্কিন প্রেসিডেন্ট (US) ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত-চিন সীমান্ত (India-China Border Issue) সমস্যা বিবাদের শান্তিপূর্ণ সমাধানের কথা বললেও, চিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে আমেরিকাও। বৃহস্পতিবার ব্রাসেলস ফোরামের ভার্চুয়াল সম্মেলনে মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেও (Mike Pompeo) বলেন, ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ায় চিনের আগ্রাসনের কারণেই ইউরোপ থেকে মার্কিন সেনার সংখ্যা কমানো হচ্ছে।
ব্রাসেলসে এক ভার্চুয়াল সম্মেলনে পম্পেওকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জার্মানিতে সেনা সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে কেন? জিজ্ঞেস করায় সাফ জানান, মার্কিন সেনা বেশিদিন এখানে থাকবে না। তাদের অন্যত্র সরানো হচ্ছে। চিনের কমিউনিস্ট পার্টির সমালোচনা করেন মার্কিন বিদেশসচিব। তিনি বলেন, চিনের কমিউনিস্ট পার্টির পদক্ষেপ শুধু ভারতের জন্য হুমকি নয়। ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্সও চিনের হুমকির মুখে। দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের তত্পরতা নিয়েও ক্ষুব্ধ আমেরিকা। পম্পেও আরও জানান, 'আমাদের সময়ের এই চ্যালেঞ্জ'- এর মোকাবিলা করতেই মার্কিন সেনাকে জার্মানি থেকে সরিয়ে আনা হচ্ছে। আরও পড়ুন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চিনের আচরণ বিদ্যমান চুক্তিগুলির সম্পূর্ণ অবজ্ঞার প্রতিফলন: বিদেশ মন্ত্রক
'আগ্রাসী রাশিয়া'কে ঠেকাতে পূর্ব ইউরোপের দেশগুলিতে সেনা উপস্থিতি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আমেরিকা। প্রায় ৬২ হাজারের উপর মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে ইউরেপে। ইউক্রেন সংকট নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হওয়ার পর নেটোয় এটাই যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বেশি সেনা উপস্থিতি। ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গলওয়ান উপত্যায় চিনের সঙ্গে সংঘাতে এক অফিসার-সহ ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হন। এই সংঘাতকে কেন্দ্র করেই যুদ্ধের আবহ তৈরি হয়েছে। দু-দেশের সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার মধ্যেই ব্যাপক যুদ্ধপ্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ভারতীয় ভূ-খণ্ডের কিছুটা অংশ দখল করে, সেখানে পাকা ঘাঁটি গড়ে তোলার অভিযোগ উঠেছে চিনের বিরুদ্ধে।