বেজিং, ২৩ এপ্রিল: করোনায় আক্রান্ত উহানের দুই চিকিৎসক (Two Chinese doctors) প্রায় যমে মানুষে টানাটানির পর বেঁচে ফিরেছেন। তবে ধীরে ধীরে তাঁদের গায়ের চামড়া কালো হয়ে যাচ্ছে। ওই দুই চিকিৎসক হলেন ডক্টর ই ফান ও ডক্টর হু ওয়াইফেং। জানুয়ারি মাসে উহান সেন্টাল হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা করতে করতেই ওই দুই ডাক্তার মারণ রোগে আক্রান্ত হন। পরে তাঁরা সুস্থ হয়ে গেলেও দুজনেরই গায়ের চামড়া কালো হয়ে যায়। যে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন ওই দুই ডাক্তার, তিনি জানিয়েছেন মারণ রোগের কামড়ে তাঁদের শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে। এর জেরে তাঁদের লিভারও খারাপ হয়ে গেছে। ৩৯ দিন ধরে লাইফ সাপোর্ট মেশিন ইসিএমও-র মধ্যেই ছিলেন ডক্টর ই।
তিনি নিজে একজন কার্ডিওলজিস্ট। এই ইসিএমও মেশিন শরীরের বাইরে থেকে রক্তে অক্সিজেন পাম্প করে হৃদপিণ্ড এবং ফুসফুসের কার্যকারিতা বজায় রাখে। মারণ রোগকে রুখে ডক্টর ই বেঁচে ফিরলেও তিনি এখনও খুবই দুর্বল। একা হাঁটাচলাও করতে পারেন না। আর ইউরোলজিস্ট ডক্টর হু-র অবস্থা আরও খারাপ। তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন ৯৯ দিন। তিনি শয্যাশায়ী হয়ে পড়েছিলেন। এখনও দারুণ দুর্বল। আরও পড়ুন- Mukesh Ambani: ফেসবুককে ৯.৯৯ শতাংশ শেয়ার বেচে ফের এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি মুকেশ আম্বানি
প্রথম করোনাকে চিহ্নিত করা চিকিৎসক লি ওয়েনলিয়াং-এর সহকর্মী এই দুই ডাক্তার। ৭ ফেব্রুয়ারি তীব্র অসুস্থতার মধ্যেই লি-র মৃত্যু হয়। মারণ ভাইরাসের খবর জনমনে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য চিনের প্রশাসন তাঁকে শাস্তিও দিয়েছিল। তিনি লিখেছিলেন, সাতজন রোগী সার্সের মতো উপসর্গ নিয়ে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তিনি ওখানকারই চিকিৎসক। মেডিক্যাল কলেজের অ্যালুমনি গ্রুপে এই তথ্য প্রকাশ করেন তিনি। আক্রান্তদের প্রত্যেককেই কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। চাইনিজ মেসেজ অ্যাপ উই চ্যাটে এই খবর প্রকাশ করেছিলেন লি।