কাবুল, ১৮ সেপ্টেম্বর: নয়ের দশকের তালিবানের (Taliban) চেয়ে বর্তমান সংগঠন পৃথক৷ এমন দাবি প্রকাশ্যে এনে আফগানিস্তানে (Afghanistan) ক্ষমতা দখল করে তালিবান৷ আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের পর তালিবান ঘোষণা করে ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে আফগানিস্তান জুড়ে উচ্চ প্রাথমিক স্কুলগুলি খুলে দেওয়া হবে৷ স্কুল খোলার পর পড়াশোনার জন্য সেখান ছাত্র, শিক্ষকরা হাজির হতে পারবেন বলে জানানো হয়৷ সাধারণ স্কুলের পাশাপাশি মাদ্রাসাগুলিকেও ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে খোলা হবে বলে জানায় তালিবান৷
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, আজ থেকে আফগানিস্তানে স্কুল খোলা হলেও, সেখানে ছাত্রীদের (Students) প্রবেশের অনুমতি নেই৷ ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সীরা উচ্চ প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়া৷ সেখানে ছাত্রদের স্কুলের (School) দরজা খোলা হলেও, ছাত্রীদের প্রবেশের অনুমতি নেই৷ অর্থাৎ মহিলাদের পড়াশোনা করতে দেওয়া হবে না বলে নিষেধাজ্ঞা তজারি না করলেও, কোনও ছাত্রীর স্কুলে প্রবেশের অনুমতি নেই বলে স্পষ্ট জানানো হয়৷
আরও পড়ুন: Yash Dasgupta: তিনি 'ইয়াশ পত্নী', কাকে বিয়ে করলেন যশ দাশগুপ্ত? দেখুন ছবি
সম্প্রতি তালিবান মুখপাত্র নাঈম দাবি করেন, মহিলাদের কাজ সন্তান জন্ম দেওয়া এবং ইসলামিক রীতি মেনে তাদের বড় করা৷ মহিলাদের মন্ত্রক সামলানোর কোনও প্রয়োজন নেই৷ মহিলাদের মন্ত্রিত্ব দেওয়া মানে, জোর করে তাঁদের কাধে বোঝা চাপিয়ে দেওয়া৷ যা নিয়ে ফের বিস্তর জল্পনা শুরু হয়৷
এসবের পাশাপাশি সম্প্রতি আফগানিস্তানের নয়া শিক্ষামন্ত্রী জানান, মাস্টার্স বা উচ্চশিক্ষার কোনও প্রয়োজন নেই৷ আফগানিস্তানে বর্তমানে মোল্লারা ক্ষমতায়৷ তাঁদের কেউ উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত নন৷ অনেকে স্কুলের গণ্ডিও পেরোননি বলে দাবি করেন তিনি৷ যা নিয়েও গোটা বিশ্ব জুড়ে আলোচনা শুরু হয় জোর কদমে৷