হাউস্টন, ৩০ মার্চ: করোনার কামড়ে শুধু প্রাণ যাচ্ছে, এমন ভাববেন না। প্রাণ বেঁচে গেলেও হৃদয়যুদ্ধের (cardiac injury) পরাজয় মানতে হবে আপনাকে। সুস্থ সবল মানুষও করোনাকে প্রতিহত করে ফিরে আসতে পারেন। তবে আক্রান্ত হতে পারে হৃদযন্ত্র। রীতিমতো হৃদরোগকে বয়ে আনছে এই মারণ ভাইরাস। তাই হৃদরোগীরা সাবধান। কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হয়ে ফিরলেও ফুসফুস আক্রান্ত হতে পারে। শুধু আক্রান্ত নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ফুসফুস। করোনাভাইরাসকে প্রতিহত করে ফিরে আসা ব্যক্তির শরীরে স্থায়ী ক্ষত হিসেবে থেকে যেতে পারে অনেক কিছুই যেমন কার্ডিও ভাসকুলার সিস্টেমকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। গবেষকদের এমনটাই দাবি। এমনকী হৃদযন্ত্রের পেশীও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে।
ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাসের হেলথ সায়েন্স সেন্টার অফ হাউস্টনের গবেষক ডক্টর মহম্মদ মাদজিদ বলেছেন, যাঁর শরীরে হৃদরোগের চিহ্ন মাত্র নেই, এমন কেউ যদি দুর্ভাগ্যকর্মে করোনার গ্রাসে পড়েন। তবে সেরে উঠবার পর হয়তো একদিন আবিষ্কার করলেন তিনি হৃদরোগে ভুগছেন। যাঁর হৃদরোগ আছে বা সম্ভাবনা আছে তিনিই এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হবেন এমনটা নয়। করোনা ছুঁলে এটি যে কারোরই হতে পারে। জেএএমএ কার্ডিওলজির জার্নালে এমন তথ্যই প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণা বলছে করোনার থাবায় হৃদযন্ত্র থেমে যেতে পারে। বিকলও হতে পারে। এই ধরনের সম্ভাবনা ১০.৫ শতাংশ ক্ষেত্রে একেবারেই সঠিক। চিকিৎসা সংক্রান্ত বুলেটিনে এমন তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। আরও পড়ুন-Air India Ferrying Medical Equipment: করোনা রুখতে লকডাউন, চিকিৎসা সরঞ্জাম পৌঁছে দিচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়ার কার্গো বিমান
এদিকে ভারতে সোমবার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০৭১ ছুঁয়ে ফেলল। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য বলছে, মোট পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ৯৪২। ৯৯ জন ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। দেশে মোট ৩০ জন এই মারণ ভাইরাসে (Coronavirus cases) প্রাণ হারিয়েছেন। ১৫ লক্ষ ২৪ হাজার ২৬৬ জন যাত্রী ৩০ মার্চ সকাল ১০.৩০ মিনিট পর্যন্ত বিমানবন্দরে স্ক্রিনড হয়েছেন। ১০০০ আক্রান্তের মধ্যে ১০৬ জন নতুন নভেল করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে। পশ্চিমবঙ্গে আরও একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। সোমবার সকালে মহারাষ্ট্রে নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১২। আজকের হিসেব ধরে মহারাষ্ট্রে মোট আক্রান্ত ২১৫ জন। লকডাউন বাড়িয়ে দেওয়ার কোনও ইচ্ছে সরকারের নেই।